মালদ্বীপে একদিনের ব্যবধানে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু

৩ সপ্তাহ আগে
মালদ্বীপে একদিনের ব্যবধানে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মো. খসরু আহমেদ (৫৩) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২২)। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের কল্যাণ সহকারী মো. জসিম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশ মিশনের এই কর্মকর্তা বলেন, মৃত দুই প্রবাসী রাজধানী মালের পার্শ্ববর্তী আইল্যান্ডে কাজ করতেন। খসরু আহমেদ বৈধভাবে কাজ করলেও ইয়াছিন মিয়া অবৈধভাবে কর্মরত ছিলেন। দুজনের লাশই দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

 

খসরু আহমেদের সম্পূর্ণ খরচ মালিক বহন করলেও অবৈধভাবে কর্মরত মৃত প্রবাসী ইয়াছিন মিয়ার লাশ পাঠানো হয়েছে ইন্সুরেন্স কোম্পানী ও দূতাবাসের সহযোগিতায়।

 

মো. জসিম উদ্দিন জানান, লাশ দুটি বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১১টায় শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে পৌছাবে। স্বজনরা তাদের লাশ গ্রহণ করবেন।

 

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া / প্রবাসীদের এমআরপি পাসপোর্ট সম্পর্কিত যে তথ্য দিল বাংলাদেশ দূতাবাস

 

মৃত ইয়াছিনের বাড়ি কুমিলা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় গোপাল নগরে। ইয়াছিনের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 

 

তার নিকট আত্মীয় মজিবুর রহমান মুঠো ফোনে সময় সংবাদকে বলেন, পরিবারের হাল ধরতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালদ্বীপে পাড়ি জমান ইয়াছিন। তার বেতন দিয়েই চলত সংসার। 

 


খসরু আহমেদের বাড়ি সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নে। তার বড় ছেলে মো. আবু তাহের মুঠো ফোনে সময় সংবাদকে বলেন, সংসারের অভাব ঘোচাতে ১০ বছর আগে মালদ্বীপে পাড়ি জমান বাবা। আগামী রমজানে দেশে ফিরবেন বলে কোম্পানি থেকে ছুটিও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন বাবা ফিরবে লাশ হয়ে।

 

একমাত্র উপার্জনক্ষম খসরুকে হারিয়ে এখন দিশেহারা তার পরিবার। খসরু আহমেদের নিকট আত্মীয় ও মালদ্বীপের সিলেট প্রবাসী সংগঠনের সভাপতি আবদুল আল মামুন সময় সংবাদকে বলেন, খসরু আহমেদ মালদ্বীপের ধিগুরা আইল্যান্ডে কৃষিকাজ করতেন।

 

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের ২ নাগরিক অভিযুক্ত

 

গত সপ্তাহে স্ট্রোক করেন খসরু। এরপর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে তার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর সম্পুর্ন খরচ মালিক বহন করেছেন এবং পরবর্তীতে তিনি একমাসের বেতন বা বাংলা ৬০ হাজার টাকা দিবে বলে আস্বস্ত করেন।

 

এছাড়াও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে তিন লাখ টাকা পাবেন বলে জানান আল মামুন। এজন্য ওই মালিক ও বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন