রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২২ মে) হাউজে ২১৫-২১৪ ভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে বুধবার হাউজ কমিটিতে অল্প ব্যবধানে বিলটি পাস হয়েছিল।
হাউজ স্পিকার মাইক জনসন এই বিলকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক মোড় পরিবর্তন’ আখ্যা দিয়েছেন। যদিও বিলটির সামনে এখনও আছে বড় চ্যালেঞ্জ এবং সিনেটে পাস হওয়ার ঝুঁকি।
রিপাবলিকান নেতারা বিলটি নিয়ে নিবিড় আলোচনায় নিয়োজিত থাকার সময়ই ট্রাম্প এ বিল সামনে এগুনোর পথ সুগম করার চেষ্টা নিয়ে এগিয়ে আসতে হাউজের রিপাবলিকানদের কাছে আবেগঘন আবেদন জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা প্রসঙ্গে কী বললেন জয়শঙ্কর?
বিলটির বিপক্ষে ২১২ ডেমোক্রেটের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন দুই রিপাবলিকানও। বিলটি এখন সিনেটে যাওয়ার পরও চলবে কাঁটাছেড়া। কয়েকজন রিপাবলিকান এরই মধ্যে বলেছেন তারা এই বিলে কিছু পরিবর্তন চান।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে তা দেশের জন্য অনেক সুবিধা বয়ে আনবে। কর অনেক কমবে এবং সামরিক ও সীমান্ত খাতে ব্যয় বাড়বে।
যেসব রিপাবলিকান বিভিন্ন কর্মসূচিতে কর হ্রাস চান এবং যারা সরকারি ব্যয় অনেক বেশি কাটছাঁট চান তাদের সবাইকেই এই বিলের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা নিয়েছেন ট্রাম্প ও তার কংগ্রেসের সহযোগীরা। কিন্তু ব্যয় কতটা কমানো হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন হয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পে যোগ দিতে চায় কানাডা
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে করপোরেট এবং ব্যক্তির ওপর কর হ্রাসের যে বিল পাস করেছিলেন, সেটিই আরও বড় পরিসরে কার্যকর করার চেষ্টা নেয়া হয়েছে ১১১৬ পাতার নতুন ‘বিগ বিউটিফুল’ বিলে।
তাছাড়া, এই বিলে অভ্যন্তরীন রাজস্ব বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যান্য দেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে (রেমিট্যান্স) ৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাবও করা হয়েছে। এর আওতায় পড়বেন যারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন অথচ কাজ বা ব্যবসা সূত্রে সেদেশে থাকেন, তারাসহ এইচ-১বি ভিসা, এফ-১ ভিসাধারী এমনকি গ্রিনকার্ডধারীরাও।
বিলটি আইনে পরিণত হলে বিপদে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা লাখ লাখ ভারত, বাংলাদেশসহ আরও একাধিক দেশের নাগরিকরা।
]]>