মার্কিন ঘাঁটিতে সম্ভাব্য হামলার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করছে ইরান: কর্মকর্তারা

২ সপ্তাহ আগে
যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধে যোগ দেয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতে পারে ইরান। এজন্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে তেহরান। গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা মার্কিন কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

 

বুধবার (১৭ জুন) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়। 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে প্রায় তিন ডজন জ্বালানিবাহী বিমান পাঠিয়েছে যা মার্কিন ঘাঁটি রক্ষাকারী যুদ্ধবিমানগুলোকে সহায়তা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সম্ভাব্য হামলায় জড়িত বোমারু বিমানের পরিসর বাড়াতে ব্যবহার করা হতে পারে।

 

আরও পড়ুন:পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সাথে দেখা করবেন ট্রাম্প, কেন?

 

ইরানের সাথে তাদের সংঘাতে হস্তক্ষেপের জন্য ইসরাইল হোয়াইট হাউসের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এতে মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও বিস্তৃত যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। 

 

যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলি অভিযানে যোগ দেয় এবং ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ফোর্ডোতে হামলা চালায়, তাহলে ইরান-সমর্থিত হুতি মিলিশিয়া প্রায় নিশ্চিতভাবেই লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করবে। কর্মকর্তারা এসব জানিয়েছেন। 

 

তারা আরও যোগ করেছেন যে, ইরাক এবং সিরিয়ার ইরানপন্থি মিলিশিয়ারা সম্ভবত সেখানে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ করার চেষ্টা করবে।

 

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান এবং সৌদি আরবসহ সমগ্র অঞ্চলের সামরিক ঘাঁটিতে কমান্ডাররা আমেরিকান সেনাদের উচ্চ সতর্কতা জারি করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০,০০০ এরও বেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে।


দুই ইরানি কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলের যুদ্ধে যোগ দেয় তবে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ করবে।


ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের শত্রুদের জানা উচিত, তারা আমাদের উপর সামরিক আক্রমণ করে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারবে না এবং ইরানের জনগণের উপর তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে পারবে না।’

 

আরাঘচি তার ইউরোপীয় প্রতিপক্ষদের ফোনালাপে বলেছিলেন যে, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে দোষ ইসরাইল এবং তার প্রধান সমর্থকদের উপর পড়বে। 

 

আরও পড়ুন:আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে এখনই হত্যা করা হবে না: ট্রাম্প


নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধে যোগদানের সম্ভাবনা বেড়েছে কারণ ইসরাইল তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং ইরান প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এরইমধ্যে হোয়াইট হাউজে জরুরি বৈঠকও সেরেছেন ট্রাম্প। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন