মানুষের মতো কথা বলে শালিক পাখি!

২ সপ্তাহ আগে
ময়না বা টিয়া নয়, এবার হুবহু মানুষের মতো কথা বলছে শালিক পাখি! রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানীপুর গ্রামের ভ্যানচালক হারুন মণ্ডলের আদরে বড় হয়ে উঠেছে এমনই দুটি পাখি—মটু ও বাতাসি।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, পাখি দুটির কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে ‘আব্বা’, ‘আম্মু’, এমনকি ‘ভাত খেয়েছো?’—এমন প্রশ্নও!

 

দুই বছর আগে নারকেল গাছ কাটার সময় বাসা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শালিকের দুটি ছানা তুলে আনেন হারুন মণ্ডল। সন্তানের মতো লালন-পালন করে পোষ মানান পাখিগুলোকে। হারুনকে ‘আব্বা’ ও তার স্ত্রী জহুরা বেগমকে ‘মা’ বলে ডাকে তারা।

 

ছেলে ঘরে এলে ‘ভাইয়া’ বলে সম্ভাষণ জানায়। শুধু তাই নয়, তারা আল্লাহর নাম নিয়ে জিকির করে, অতিথি এলে সালাম দেয়, গল্প করে।

 

হারুন মণ্ডল বলেন, ‘আমি ওদের পাখি হিসেবে নয়, সন্তান হিসেবে দেখি। কলা, রুটি, মুরগির ফিড, এমনকি মাংসের ছোট টুকরো পর্যন্ত খায় তারা।’

 

আরও পড়ুন: বাগেরহাটে শিকারির ফাঁদ থেকে ১২০০ পাখি অবমুক্ত

 

তার স্ত্রী জহুরা বেগম বলেন, ‘ওরা আমাকে মা ডাকে, আব্বা এলে বলে “মা, আব্বাকে ভাত দাও।” এসব শুনে মনটা ভরে যায়। ওরা যেন ঘরেরই একজন।’

 

হারুনের বাড়িতে শালিক পাখির এভাবে কথা বলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ভিড় করছেন। স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা কাজী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ময়না বা টিয়া পাখি কথা বলে শুনেছি, কিন্তু শালিক পাখির কথা বলার দৃশ্য এই প্রথম দেখলাম। হারুনের ভালোবাসা ও যত্নে পাখিরাও যেন পরিবারে রূপ নিয়েছে।’

 

পাখির প্রতি এমন ভালোবাসা ও দায়িত্বশীলতার এক বিরল উদাহরণ হয়ে উঠেছেন হারুন মণ্ডল—মটু ও বাতাসির ‘আব্বা’।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন