মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় ইব্রাহিম খলিলসহ তার অন্তত ১৫ জন সহযোগী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজন ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, দুপুরে সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী মাদ্রাসার সামনে নদী সিকস্তি ভূমিহীন কৃষক সমবায় সমিতির মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় লাঠিসোটা হাতে একদল লোক এসে তার ওপর হামলা চালায় ও গাড়ি ভাঙচুর করে।
তার দাবি, ছাত্রদল ও যুবদলের নামধারী কিছু ব্যক্তি লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন সোহেল, শাওন ও কুদ্দুস। হামলায় তার বহরে থাকা চারটি মোটরসাইকেল এবং চারটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়া হয়।
ঘটনার পরপরই আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন মো. ফারুক, পার্থিব, আল আমিন, খোকন, রায়হান, রুবেল, সোহাগ ও আক্তার। হাসপাতালের সামনে ইব্রাহিম খলিলের ব্যক্তিগত গাড়িতেও আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শসা চুরি নিয়ে সংঘর্ষ, নারী-শিশুসহ অর্ধশতাধিক আহত
অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল জানান, হামলার বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন এবং থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। কোনো অভিযোগ করেননি।’
অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদল।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু হেনা রিয়াজ বলেন, ‘ঘটনায় অভিযুক্ত যাদের নাম বলা হয়েছে তারা কেউ আমাদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়। শুনেছি, আওয়ামী লীগের কিছু লোক স্লোগান দিলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ধাওয়া দেয়।’
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাবেক সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-গণমাধ্যম সম্পাদক ছিলেন।