এই আয়াত শুধু শাস্তির ভয় দেখানোর জন্য নয়; বরং এটি আত্মজিজ্ঞাসার একটি আহ্বান, যাতে মানুষ নিজের অবস্থান বিবেচনা করে সঠিক পথে ফিরে আসে।
মানুষের অন্তর, চোখ ও কান আল্লাহর দেওয়া মহান নিয়ামত। কিন্তু যদি এগুলোকে হক ও সত্য উপলব্ধির জন্য ব্যবহার করা না হয়, তবে মানুষ চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও বেশি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। কুরআনের এই সতর্কবাণী আমাদের শিক্ষা দেয় যে, শুধু শারীরিক দৃষ্টিশক্তি থাকলেই যথেষ্ট নয়, বরং সত্য উপলব্ধির জন্য মন ও বিবেককেও সচেতন রাখতে হবে। তাই আমাদের উচিত গাফেলতা পরিহার করে আল্লাহর পথে ফিরে আসা, যেন আমরা চূড়ান্ত পরিণতিতে সফল হতে পারি।
আরও পড়ুন: নবীজির পিতা-মাতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
وَلَقَدۡ ذَرَاۡنَا لِجَہَنَّمَ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡجِنِّ وَالۡاِنۡسِ ۫ۖ لَہُمۡ قُلُوۡبٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ بِہَا ۫ وَلَہُمۡ اَعۡیُنٌ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ بِہَا ۫ وَلَہُمۡ اٰذَانٌ لَّا یَسۡمَعُوۡنَ بِہَا ؕ اُولٰٓئِکَ کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ অর্থ: আমি জিন ও মানুষের মধ্য হতে বহুজনকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। (১০০) তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তা দ্বারা তারা অনুধাবন করে না, তাদের চোখ আছে, কিন্তু তা দ্বারা দেখে না এবং তাদের কান আছে, কিন্তু তা দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তার চেয়েও বেশি বিভ্রান্ত। এরাই গাফেল।
অর্থাৎ তাদের তাকদীরে লেখা আছে যে, তারা নিজ ইচ্ছায় এমন কাজ করবে, যা তাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। প্রকাশ থাকে যে, তাকদীরে লেখার অর্থ জাহান্নামের কাজ করতে তাদের বাধ্য হয়ে যাওয়া নয়। এর দৃষ্টান্ত এভাবে দেওয়া যেতে পারে যে, কোনও শিক্ষক তার কোনও ছাত্রের অবস্থা সামনে রেখে লিখে দিল যে, সে ফেল করবে। এর অর্থ এমন নয় যে, শিক্ষক তাকে ফেল করতে বাধ্য করল; বরং সে যা-কিছু লিখেছিল তার অর্থ ছাত্রটি পরিশ্রম না করে সময় নষ্ট করবে, পরিণামে সে ফেল করবে।
]]>