বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে লালনগীতি, রবীন্দ্র সংগীত, লোকগীতি, ক্লাসিক, রোমান্টিকসহ বিভিন্ন রকমের সংগীতে শিল্পীরা মঞ্চ মাতিয়ে তুলেন। তাদের মনোমুগ্ধকর এই অনুষ্ঠান দেখতে গ্যালারিজুড়ে ভিড় করেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের দর্শক। অনুষ্ঠান পরিণত হয় এক মিলন মেলায়।
নৃত্যের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে দারুণ খুশি শিল্পীরা। ভাল লাগার কথাও জানান তারা। এমন উৎসবে জেলার পরিচিতি বাড়বে, আর সৃজনশীল প্রজন্ম গড়ে তুলতে নিয়মিত নৃত্যের চর্চার প্রয়োজন বলে মনে করে দর্শকরা। স্বাপ্নিক নৃত্য বিকাশের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে ছিল নৃত্যের ঝংকার।
দর্শক বিপ্লব কর্মকার বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমিতে এই অনুষ্ঠান খুবই মনোমুগ্ধকর। এটি দেখি মনপ্রাণ জুড়িয়ে গেছে। আগামীতেও এমন নৃত্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করলে ভাল হবে।’
আবৃত্তি শিল্পী কুমার লাভলু বলেন, ‘এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে নৃত্যশিক্ষার মানজাগ্রত হবে। পাশাপাশি ভালমানের শিল্পও তৈরি হবে। আর অনুষ্ঠান ছিল মনোমুগ্ধকর। সত্যিই অসাধারণ।’
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে নৃত্য প্রতিযোগিতা
অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শিল্পী নূরজাহান কান্তা বলেন, ‘একসঙ্গে শতাধিক শিল্পী নৃত্য প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া সেটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। ছোট-বড় সবাই আনন্দে মাতোয়ার হয়েছি। এই আনন্দের কোন সীমা নেই।’
ক্ষুদে নৃত্যশিল্পী অঙ্গনা কুন্ডু জানায়, ‘পরিবারের সবাই আমাদের অনুশীলন দেখেছে। সবাই আনন্দ পেয়েছে। অংশ নিতে পেরে নিজেদেরও ভাল লেগেছে।’
স্বাপ্নিক নৃত্য বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা স্বপন মাহমুদ জানান, এই নৃত্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জেলার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। পাশাপাশি দক্ষ একজন নৃত্য শিল্পী গড়তে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই প্রশিক্ষণ।
নৃত্য প্রশিক্ষক ও কোরিওগ্রাফার এম আর ওয়াসেক বলেন, ‘মাদারীপুর এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক মেধা রয়েছে। এখান থেকে দেশসেরা নৃত্যশিল্পী তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। খুব মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীরা এই কর্মশালায় অংশ নিয়েছে।’