সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে লেকেরপাড়ের স্বাধীনতা অঙ্গনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়, যা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা অঙ্গনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এর পরপরই শুরু হয় পুনরায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, উদীচী, শিশু একাডেমি, উদ্ভাস আবৃত্তি সংগঠনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া লেকেরপাড়ের বটতলায় আয়োজন করা হয়েছে ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। এই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ পছন্দের নানা পণ্যের সমাহার।
মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নাট্য প্রশিক্ষক আজম কামাল বলেন, ‘প্রতিবছর এই দিনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। পুরানো গ্লানি ভুলে নতুন বছরে নতুনত্ব নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে—এই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ আজ, স্বাগত ১৪৩২
মাদারীপুর জেলা উদীচীর সভাপতি ডা. রেজাউল আমিন খোকন বলেন, ‘দেশ থেকে সব অন্যায়, অবিচার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দূর হোক—এই প্রত্যাশাই নতুন বছরে। আমরা চাই দেশে আর কোনো বৈষম্য না থাকুক। দেশের মানুষ ভালো থাকুক, এই কামনা করি।’
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল আলম বলেন, ‘বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ। তাই শহরের লেকেরপাড়ে ৭ দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৭ দিনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা ঘুরতে এসে আনন্দ ও বিনোদন উপভোগ করতে পারেন।’
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, জেলা শিশু একাডেমির শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য কাজী হুমায়ুন কবীর, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার, অ্যাড. জামিনুর হোসেন মিঠু, মো. মিজানুর রহমান মুরাদসহ আরও অনেকে।
]]>