মাদারীপুরে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম

৩ সপ্তাহ আগে
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শহরের চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

আহত বোরহান মোল্লা (৪০) সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের চরব্রাহ্মনদী এলাকার মান্নান মোল্লার ছেলে এবং একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিগত কাজ শেষে ইজিবাইকযোগে শহরের পুরানবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বোরহান মোল্লা। চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে শিমুল সরদার ও তার লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বোরহানকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

 

বোরহানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

আরও পড়ুন: দুপক্ষের সংঘর্ষ /শরীয়তপুরে বালতি হাতে হেলমেট পরে শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ!

 

প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোলেমান বলেন, ‘সরদার বাড়ির ১০ থেকে ১৫ জন মিলে ওই ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করছিল। চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে গিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

 

আহতের চাচা সামছুল হক মোল্লা বলেন, ‘বাজার শেষে বাড়ি ফেরার পথে একা পেয়ে পরিকল্পিতভাবে বোরহানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শিমুল সরদার ও তার লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই।’’

 

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদা আক্তার বলেন, ‘বোরহানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

 

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘শিমুল সরদার ও হায়াত সরদারের সঙ্গে ইউপি সদস্য বোরহানের পূর্ব শত্রুতা ছিল। এ কারণে তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পরিদর্শন করেছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন