রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি জেনেও উপস্থিত হচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা। তবে খুব শীঘ্রই ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা প্রকৌশলী।
একসময় জেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে নারীরা ছিলেন চরম অবহেলিত। নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পাঙ্গাশিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে একটি টিনশেড ঘরে মেয়েদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এম এ রব মিয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৫ সালে তিন কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী ইপিজেড: কী কী থাকছে, কাজ কতদূর?
ক্ষমতার পালাবদলের পর রাজনৈতিক রেষারেষিতে নির্মাণের পর দীর্ঘ ২৭ বছরে বিদ্যালয় ভবনটির কোনো সংস্কার না হওয়ায় ভবনটি সম্পূর্ণ জরাজীর্ণ ও পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সর্বদা আতঙ্কে থাকেন। দ্রুত ভবনটি মেরামত করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিদ্যালয়টিতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ও ১৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়া তিনজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বিদ্যালয় ভবনের সংস্কারের জন্য বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও দলীয় সুপারিশ না থাকায় কোনো সুরাহা মেলেনি।
পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোশফিকুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ওই জরাজীর্ণ ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
বিদ্যালয়টির বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। খেলার মাঠ থাকলেও সেখানে খেলতে না পারায় তাদের শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শৌচাগারেরও বেহাল দশা, ছাত্রীদের ছুটতে হয় আশেপাশের বাড়িতে। ভবনটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণের আধুনিক সব সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই কর্মকর্তার অপসারণ দাবিসহ ক্ষতিপূরণে অবস্থান কর্মসূচি
বিদ্যালয়টির দ্রুত সংস্কার অথবা নতুন ভবন নির্মাণ করা না হলে শিক্ষার্থীদের জীবন আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।