সাব্বিরের সঙ্গে তামিমের তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটেছে আজ বিকেলের ম্যাচে। বল ধরে সাব্বির ফেইক ফিল্ডিংয়ের অভিনয় করায় হুট করে চটে যান তামিম। এসময় সাব্বিরকে বেশ কড়া কথাও শোনাতে দেখা গেছে সাবেক টাইগার কাপ্তানকে। তবে এর চেয়েও বড় ঘটনা তামিম ঘটান ম্যাচশেষে। ম্যাচসেরা হওয়ার পুরস্কার নিজে না নিয়ে সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে নেওয়ান তিনি।
মাঠে সাব্বিরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে মেজাজ হারালেও আজ ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তামিম। ৪৮ বলে ৬১ রান করে দলকে জয় এনে দেয়ার নায়ক এই ব্যাটার। অনবদ্য ফিফটিতে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড ভেঙে বরিশালের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ফিফটির রেকর্ডও গড়েছেন তামিম। পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
তবে ম্যাচসেরার সেই পুরস্কার তামিম নিজে গ্রহণ করেননি। তার পক্ষ থেকে সেটি নিতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। ম্যাচশেষে এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির দেয়া তথ্যমতে, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চের পাশে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছেন তামিম। কিন্তু ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরেও পুরস্কার দিতে কেউ না আসায় বিরক্তি নিয়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান তামিম। ফলে শান্তকে পাঠানো হয় পুরস্কার মঞ্চে। প্রসঙ্গত, বরিশাল-ঢাকার ওই ম্যাচে পুরস্কার বিতরণ করেছেন বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ।
এর আগে সাব্বির-তামিম তর্কের সূত্রপাত ঘটে বরিশালের ইনিংসের নবম ওভারে। ঢাকার দেয়া ১৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করছিল বরিশাল। উইকেটে ছিলেন ডেভিড মালান এবং তামিম। চতুরঙ্গ ডি সিলভার করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলটা কাভার অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে একটি রান নেন তামিম। বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে বলটি আটকান সাব্বির রহমান। তবে ব্যাটারদের ধোঁকা দিতে সরাসরি উইকেটরক্ষককে থ্রো না করে বলটা আবার ফেলে দেন সাব্বির। বল ধরেও না ধরার বা না ধরে ধরার এমন অভিনয়কে ক্রিকেটের পরিভাষায় বলা হয় ফেইক ফিল্ডিং। সাব্বিরও হয়তো তেমন কিছুই করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আবারও মাঠে মেজাজ হারালেন তামিম, কেন?
তবে সাব্বিরের এই কৌশল সহজভাবে নিতে পারেননি তামিম। রান নিয়ে উইকেটের অপর প্রান্তে যাওয়ার পরপরই সাব্বিরের উদ্দেশে কড়া কথা বলেন এই ব্যাটার। মাঠের স্ট্যাম্প মাইক থেকেই শোনা গিয়েছে সেই কথা। ভিডিও ফুটেজে তামিমকে সাব্বিরের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘বেশি লাগতে যেও না সাব্বির, বেশি লাগতে যেও না।’
এই কথার পরে আরও কিছু বলতে শোনা গিয়েছে তামিমকে। কিন্তু সেসব কথা স্পষ্ট বোঝা যায়নি। ঘটনার পর সাব্বিরও উত্তেজিত হয়েছেন। তামিমের দিকে এগিয়েও যেতে দেখা যায় তাকে। তবে ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা এসে সাব্বিরকে শান্ত করলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এসময় ফিল্ড আম্পায়াররাও দুজনকে শান্ত করতে ভূমিকা পালন করেছেন।