সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) টেক্সাস থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পর কিছুক্ষণ পরই মহাকাশযানটি ভেঙে টুকরো হয়ে যায়।
স্পেসএক্স-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের পর সফলভাবে প্রথম ধাপের বুস্টারকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনলেও সমস্যা দেখা দেয়ায় মহাকাশযানের উপরের অংশটি হারিয়ে যায়।
স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে এ রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি ছিল স্পেসএক্সের রকেটের সপ্তম পরীক্ষা।
মার্কিন ফেডারাল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ পড়ার সম্ভাব্য এলাকার আশপাশে বিমান চলাচল কিছু সময়ের জন্য স্থগিত এবং রুট পরিবর্তন করা হয়। ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ২০টি বিমান তাদের রুট পরিবর্তন করেছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ টিউলিপকে নিয়ে কেন পোস্ট দিলেন ইলন মাস্ক?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জেফ বেজোসের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি নিউ গ্লেন নামের রকেটের প্রথম সফল উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টা পর মাস্কের প্রতিষ্ঠানের স্টারশিপ রকেটের ওই পরীক্ষা চালানো হয়। একই দিন ফ্লোরিডার ক্যাপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে ব্লু অরিজিনের রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ধ্বংসাবশেষ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ওপর দিয়ে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করছে।
এ ঘটনা নিয়ে ইলন মাস্ক এক্সে লেখেন, ‘সাফল্য অনিশ্চিত, তবে বিনোদন নিশ্চিত।’ এসময় রকেট উৎক্ষেপণের দৃশ্যও শেয়ার করেন তিনি।
মাস্ক আরও লেখেন, রকেটের উন্নত সংস্করণ এরই মধ্যে উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শিগগিরই চালু হচ্ছে স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট, জানালেন ইলন মাস্ক
স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘স্টারশিপ উৎক্ষেপণের সময় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের পরীক্ষায় ব্যর্থতাও শেখার একটি অংশ, যা ভবিষ্যতে স্টারশিপের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
স্পেসএক্সের এই মিশন ছিল স্টারশিপের সপ্তম পরীক্ষা। মাস্কের স্বপ্ন, একদিন এই মহাকাশযান মানুষ ও পণ্য নিয়ে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাবে।