দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স, স্কাই নিউজসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় নেতারা। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধানের বিমানে বিঘ্নের নেপথ্যে ‘রুশ-যোগের’ সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না ইউরোপ।
যদিও শেষ পর্যন্ত উরসুলাকে নিয়ে বিমানটি নিরাপদেই অবতরণ করে বুলগেরিয়ার দক্ষিণ প্রান্তের প্লোভডিভ শহরে।
রাশিয়া সীমান্তবর্তী ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে চারদিনের সফরে গেছেন উরসুলা। এই সফরের মাঝেই অভিযোগ উঠল তাকে বহনকারী বিমানের জিপিএস সিগন্যাল জ্যাম করার।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ৫ শতাধিক ড্রোন ও ৪৫ মিসাইল ছুড়ল রাশিয়া
এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র বলেছেন,
জিপিএস জ্যাম করা হয়েছিল, তা আমরা নিশ্চিত। তবে বিমানটি নিরাপদে বুলগেরিয়ায় অবতরণ করেছে। বুলগেরিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি এই ঘটনার নেপথ্যে রাশিয়ার স্পষ্ট হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করছেন।
যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে রাশিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিযোগ, হুমকি এবং ভয় দেখানোর মতো কাজ রাশিয়া নিয়মিত করে থাকে। সোমবারের ঘটনা ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনকে আরও জোরালো করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অভিযোগ তোলার আগেই সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস সূত্র মারফত জানিয়েছিল, উরসুলার বিমানের জিপিএস জ্যাম করা হয়েছে। এর ফলে ‘কাগুজে ম্যাপ’ ব্যবহার করে অবতরণ করতে হয়েছে বিমানটিকে। পরে বুলগেরিয়ার সরকার একটি বিবৃতিতে জানায়, বিকল্প ব্যবস্থার সাহায্যে বিমানটি অবতরণ করে।
যদিও বুলগেরিয়ায় এমন ঘটনা নতুন নয়। দেশটির বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই বিমানের জিপিএস ব্যবস্থা জ্যাম করার প্রবণতা বেড়েছে।
]]>