মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণের মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

৬ দিন আগে
মাগুরায় চাঞ্চল্যকর আছিয়া ধর্ষণ মামলার চার্জশিট ১ মাস পর দাখিলের মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলো। চার্জশিটে বর্ণিত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখ ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে।

রোববার (১৩ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. আলাউদ্দিন আদালতে চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।

 

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী জানান, ‘চাঞ্চল্যকর এ মামলায় অভিযুক্ত ৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মতিনের আদালতে রোববার বিকাল সাড়ে চারটায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে নিহত আছিয়ার ভগ্নিপতি সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখ হত্যার হুমকি ও ভয়-ভীতি এবং হিটু শেখের স্ত্রী জায়েদা খাতুনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।  ইতিমধ্যে ডিএনএ টেস্টে প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখের সম্পৃক্ততা মিলেছে।’

 

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও আছিয়ার বোন জামাই সজিব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

 

এ বিষয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানান, ‘মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় মামলাটি হওয়ার সাথে সাথেই জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশের কিছু চৌকস সদস্যদেরকে নিয়ে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়। সার্বক্ষণিকভাবে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তাঁরা সাহায্য করে আসছিলেন। দ্রুত সময়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হয়েছে।’

 

উল্লেখ্য, বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ৮ বছরের শিশু আছিয়া গত ৫ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী মাঠপাড়া গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়। এ ঘটনায় শিশু আসিয়ার মা আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় ধর্ষণ মামলা অজু করেন।

 

পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাগুরাসহ সারাদেশে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। আছিয়ার মৃত্যুর পর পরই মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন