প্রায় তিন বছর আগে মারা যান বগুড়ার বড়কুমিড়ার বিমলা রানীর স্বামী হরিপর সরকার। পরে অশীতিপর বৃদ্ধার দায়িত্ব বর্তায় তিন ছেলে অষ্ট সরকার, লব সরকার ও শিপন সরকারের কাঁধে। যেখানে মাথায় করে রাখার কথা, সেখানে যেন সন্তানের কাঁধের বোঝা হয়ে যান জন্মদাত্রী মা। অবহেলা অযত্নে বিমলা রানী এখন মৃত-প্রায়।
দেখাশোনা করার ভয়ে প্রতিদিন সকালে ছেলেরা মাকে রেখে আসেন বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা পেরুলেও অসহায় বিমলার কপালে জোটে না খাবার। সর্বশেষ সোমবার রাতে মা বিমলাকে মেজো ছেলে লব সরকার তার বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে স্থানীয়দের চাপে মাকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে আবারো মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি৷
ঘড়ির কাটা পেরিয়ে বিকেল ৪টা, অথচ এক ফোঁটা পানিও জোটেনি বিমলার কপালে। খা খা রোদে পড়ে থেকে জীবন প্রায় যায় যায় অবস্থা।
স্থানীয়দের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধাকে কিছু খাবার কিনে দেয়া হয়।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এক সেনা-কর্মকর্তা। পরে ভুল স্বীকার করে বিমলাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। বিমলার তিন ছেলের মধ্যে দু'জন কাঠমিস্ত্রী ও আরেকজন দর্জির কাজ করেন।
সেনাবাহিনীর সদর ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তার ছেলেরা ভুল স্বীকার করেছেন। এমনকি তাদের আর্থিক সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সহযোগিতাও করা হবে।