বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে বাবা হেলাল খানের বিরুদ্ধে নিহত নাজমা বেগমের ছেলে নাজমুল হাসান হালান এই মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পলাতক রয়েছে নাজমা বেগমের স্বামী হেলাল খান।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য পেয়ারপুর গ্রামের ভ্যানচালক হেলাল খান বসতঘরে লোকজন নিয়ে নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। বিষয়টি নিয়ে হেলালের সঙ্গে স্ত্রী নাজমা বেগমের ঝগড়া হয়। বুধবার সকালে হেলাল তার বন্ধুদের নিয়ে বসতঘরে মাদক সেবন করতে আসলে বাধা দেয় নাজমা।
আরও পড়ুন: বরিশালে নেশার টাকার জন্য যুবককে খুন
এ নিয়ে প্রথমে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নাজমার ছেলে নাজমুল হাসান হালান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় তার বাবা হেলাল খানের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, ‘নিহত গৃহবধূ নাজমা বেগমের (৪০) ময়নাতদন্ত এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনার একমাত্র আসামি হেলাল খানকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কাজ শুরু করেছে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম।’