মাইলস্টোনের প্রতিষ্ঠাতা ও অনুমতি দানকারীদের শাস্তি চান পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ

১ দিন আগে
বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়া থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো প্রতিষ্ঠান সরানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে মাইলস্টোন দুর্ঘটনা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি আহ্বান জানান।

 

আদিল মুহাম্মদ বলেন, অ্যাপ্রোচ এরিয়া থেকে জনসমাগম হয়, এমন সব স্থাপনা সরাতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা ঘটলে মৃত্যুর মিছিল ঠেকানো সম্ভব হবে না। বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের জায়গা তদন্ত করে যত ধরনের ব্যত্যয় হয়েছে, সেগুলো অনুসন্ধান করারও কথা বলেন তিনি।

 

বিমানবন্দর জনবহুল এলাকা থেকে দূরে ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকাকে সম্প্রসারণের কারণে বিমানবন্দর এলাকাও জনবহুল হয়ে উঠেছে। এই সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে নিয়ন্ত্রণ বলে যে একটা জিনিস আছে, তা ভুলে যাওয়া হয়। তা না হলে বিমানবন্দরের উড্ডয়ন-অবতরণের পাশে স্কুল-কলেজের মতো অবকাঠামো হওয়ারই কথা নয়।

 

আরও পড়ুন: মা-বাবার কাছে ফিরল কফিনবন্দি ছোট্ট নিধি

 

এই পরিকল্পনাবিদের মতে, যিনি মাইলস্টোন নির্মাণ করেছেন, তার দায় আছে। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমতি ও অনাপত্তিপত্র নেয়ারও বিষয় আছে। যারা অনুমতি ও অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন, তাদেরও দায় আছে। দায় আছে, এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনারও দাবি জানান তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে ‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা: জননিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় ও করণীয়’ শীর্ষক এক তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বিআইপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানবন্দরের রানওয়ের পর ৫০০ ফুট এলাকায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। এর পরের ১৩ হাজার ফুট বা প্রায় ৪ কিলোমিটার অঞ্চলকে অ্যাপ্রোচ এরিয়া বলা হয়, যেখান দিয়ে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।

 

আরও পড়ুন: উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: আহত-নিহতের সবশেষ তালিকা দিলো সরকার 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপ্রোচ এলাকায় ১৫০ ফুট উচ্চতার স্থাপনা নির্মাণে সরকারের নগর কর্তৃপক্ষ ও বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনো বাধা নেই। সেসব স্থাপনার কী ধরনের ব্যবহার হবে, সে বিষয়েও কোনো নির্দেশনা নেই সরকারের সংস্থাগুলোর। প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপ্রোচ এলাকায় এ ধরনের স্থাপনা কারিগরিভাবে বৈধ হলেও কার্যত অনিরাপদ।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিআইপির সহসভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন