শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাইসার করবে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় রাইসার পরিবারের শোকার্ত সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।
বিমান বাহিনীর প্রধানের প্রতিনিধি হিসেবে স্কোয়াড্রন লিডার জিহাদুল ইসলাম ও ফ্লাইং অফিসার রুদাবা কামালের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের দলটি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাইসার কবর জিয়ারত করেন। এছাড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। পরে এতিমখানার শিশুদের মাঝে তোবারক বিতরণ করেন বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
এ সময় আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম রায়হানুর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজালাল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী রাইসা মনির কবরে বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা নিহতের বাড়িতে আসেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে ছিলাম। রাইসার পরিবারের পাশে সব সময় থাকবে উপজেলা প্রশাসন।’
আরও পড়ুন: মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহত ফাতেমার কবরে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা
শাহাবুল শেখ ও মীম আক্তার দম্পতির মেয়ে রাইসা। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রাইসা ছিল মেঝো সন্তান।
রাইসার বাবা শাহাবুল শেখ বলেন, ‘আমার সোনা মনির জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমার মনিকে জান্নাতবাসী করেন।’
উল্লেখ্য, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে নিখোঁজ ছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনি। পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটির মুখমণ্ডলের অংশবিশেষ দেখে রাইসাকে শনাক্ত করেন বাবা শাহাবুল শেখ। বাবার দাবির প্রেক্ষিতে সিএমএইচ থেকে মরদেহের ডিএনএ সংগ্রহ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ডিএনএ রিপোর্টে রাইসার মরদেহ শনাক্ত হলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
গত ২৫ জুলাই ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া দক্ষিনপাড়া ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে বাজড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা গোরস্থানে মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়।