মা হওয়ার আদর্শ বয়স কত?

২ সপ্তাহ আগে
জীবনকে সুন্দর করে গুছিয়ে নিতে এখন অনেকেই দেরিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। নারী ও পুরুষের এমন সিদ্ধান্তে অনেক নারীই দেরিতে মা হচ্ছেন। এ সিদ্ধান্তকে সুশীল সমাজ সাধুবাদ জানিয়েছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নিয়ে চিকিৎসাশাস্ত্র কী বলছে তা কি জানেন?

চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রথমবার হবু মায়েদের আদর্শ বয়স ধরা হয়েছে ১৮ থেকে ৩৮ বছর। বাংলাদেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধির ফলে এখন অনেক নারীই ৩০-এর পর বিয়ে করাটাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। আর তাই বাংলাদেশে তিরিশোর্ধ্ব হবু মায়েদের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এতে চিকিৎসকরা তেমন সমস্যা না দেখলেও বলছেন বাড়তি কিছু সতর্কতার কথা।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ প্রসঙ্গে কলকাতার স্ত্রীরোগ চিকিৎসক মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় বলছেন, মা হওয়ার সবচেয়ে বেশি আদর্শ বয়স হল ২১ থেকে ৩০ বছর। এই বয়সেই একটি মেয়ের জরায়ুর উর্বরতা সবচেয়ে বেশি থাকে। আদর্শ সময়ের মধ্যে তাই মা হওয়ার চেষ্টা করা ভালো। তবে জীবন গোছানো ও ক্যারিয়ারের কারণে দেরিতে বিয়ে করলে নিজ ও সন্তানের সুস্বাস্থ্য, সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এগোনো উচিত।

 

মা হওয়ার আদর্শ বয়স প্রসঙ্গে ডাঃ মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, আদর্শ সময়ের পর নারীদের জরায়ুর কর্মক্ষমতা কিছুটা কমে যায়। তাই তিরিশোর্ধ্ব হবু মায়েদের সতর্কতা মেনে চলা উচিত। কারণ বেশি বয়সে মা হওয়া কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।

 

বেশি বয়সে মা হওয়া প্রসঙ্গে এ চিকিৎসক বলেন, ৪০ পেরিয়েও মা হওয়া যায়। এখন প্রায়ই এ রকম হচ্ছে। এমনকি ৫০-র পরেও মা হচ্ছেন অনেকে। এসবই নির্ভর করছে ওই নারীর শরীর কতটা তৈরি রয়েছে তার ওপর। যেহেতু বেশি বয়সে মা হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ তাই এক্ষেত্রে সতর্কতা মেনে চললে তা আর কোনো সমস্যাই নয়।

 

সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কিছু পরীক্ষা করে নেয়া জরুরী বলে মনে করেন এ চিকিৎসক। তিনি বলেন, কোনো দম্পতি সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দুজনেরই পরামর্শের জন্য একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা হিসেবে স্বামী, স্ত্রী দুজনেরই রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা আছে কি না তা জেনে নিতে হবে।

 

আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় দই খাওয়া কি নিরাপদ

 

এরপর নারীদের ক্ষেত্রে রক্তের ‘এনআইপিটি টেস্ট’ করাটা জরুরী বলে মনে করেন ডাঃ মল্লিনাথ। তার মতে, এর মাধ্যমে সন্তানের ডাউন সিন্ড্রোম হতে পারে কি না তা ৯৯ শতাংশ বলে দেয়া যায়। এছাড়া একজন নারী স্বাভাবিকভাবে মা হতে পারবে কিনা তা আলট্রাসাউন্ড ও এএএইচ পরীক্ষা করে জানা সম্ভব। এ পরীক্ষার মাধ্যমে আরও জানা যায়, গর্ভধারণে ও প্রসবের সময় হবু মায়ের কোনও জটিলতা আসতে পারে কি না।

 

আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন কিনা বলে দেবে টুথপেস্ট!

 

তাই একজন নারী যে বয়সেই মা হওয়ার কথা চিন্তা করুক না কেন, নিরাপত্তার জন্য গর্ভধারণের আগে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাটা জরুরী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন