শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার তারাপুরে গ্রামে বর্তমানে দুটি মসজিদ রয়েছে। একটি পুরনো মসজিদ ও আরেকটি নতুন মসজিদ নামে পরিচিতি।
কয়েক বছর আগে পুরনো মসজিদে মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে ঝামেলা হয়। মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিনসহ একটি পক্ষ কিয়াম পড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু, একই গ্রামে দুটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানায় ভিন্ন আরেকটি পক্ষ।
আরও পড়ুন: দুই চিকিৎসক দিয়ে চলছে পাবনার বক্ষব্যাধি হাসপাতাল
শুক্রবার সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ। এ সময় হাঁসুয়া, ট্যাটা ও লাঠিসোটা নিয়ে উভয়পক্ষের প্রায় ২০০-২৫০ লোকের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা সুলতানা নীলা বলেন, ‘হাসপাতালে অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন। আপাতত দুজন ভর্তি আছেন। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বগুড়া ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৯ দিনের মাথায় বাতিল পাবনার ফরিদপুর বিএনপির কমিটি
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান বলেন, ‘কিয়াম পড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। শুক্রবার সকালে মসজিদের বারান্দা তৈরির সময় সংঘর্ষ হয়। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো আটক নেই। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।’
]]>