মামদানি যখন চলতি বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে তার বিরুদ্ধে আরও ব্যক্তিগত আক্রমণ বেড়েছে। এমনকি গ্রেফতারের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
রাজ্য আইনসভার সদস্য মাত্র ৩৩ বছর বয়সি মামদানি গত ২৪ জুন প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। প্রথম রাউন্ডে কাঙ্ক্ষিত ভোট না পেলেও চূড়ান্ত রাউন্ডে বড় ব্যবধানে বিরোধী প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমোকে হারিয়ে দেন তিনি।
মামদানি ও সমর্থকদের জন্য এটা ছিল এক অসাধারণ ও অকল্পনীয় জয় যা আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে এবং সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই জয়ের পর ডেমোক্র্যাটরা মামদানির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানাচ্ছে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানরা তরুণ এই রাজনীতিককে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে এবং আক্রমণ ও হুমকি দেয়া শুরু করেছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও তাকে হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ ধন্যবাদ জানালেন জোহরান মামদানি
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) ফ্লোরিডার এভারগ্লেডসের একটি নতুন অভিবাসী আটককেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প ভিত্তিহীন দাবি করেন, মামদানি ‘অবৈধভাবে’ যুক্তরাষ্ট্রে আছেন এবং আরও বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে মামদানি যদি মার্কিন অভিবাসন বিভাগের (আইসিই) কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
ট্রাম্পের কথায়, ‘আমরা বিষয়টা খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং অনেকেই বলছে যে, তিনি অবৈধভাবে এখানে আছেন। আমরা সব কিছুই খতিয়ে দেখব।’ শুধু ট্রাম্প নয়, রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা অ্যান্ডি ওগলস মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল ও তাকে নির্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন।
মামদানি ট্রাম্প ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতার দাবির তৎক্ষণাৎ জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই দাবি ভিত্তিহীন। জানিয়েছেন, ছোটবেলায় পরিবারসহ আইনগতভাবেই উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং মার্কিন নাগরিকত্ব নেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি
বিবৃতিতে মামদানি বলেন, ‘আমি কোনো আইন ভাঙিনি; তবুও প্রেসিডেন্ট আমাকে হুমকি দিচ্ছেন, কারণ আমি আমাদের শহরকে আইসিইর ভয়ের রাজত্ব থেকে রক্ষা করতে চাইছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বক্তব্য শুধু আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ নয়, বরং নিউইয়র্কবাসীর জন্য একটি বার্তা। আপনি যদি প্রতিবাদ করেন, তাহলে তারা আপনাকে টার্গেট করবে।’
]]>