মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের জেরে অস্ট্রেলিয়ায় উত্তেজনা

৩ সপ্তাহ আগে
অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ ইহুদিবিদ্বেষী ও ইসলামবিদ্বেষী অপরাধ বৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানায়,  রবিবার সিডনির শহরতলী সেফটনে একটি সেতুর নিচে ইসলাম ধর্মের প্রতি অবমাননাকর গ্রাফিটি পাওয়া গেছে। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স বলেন, “ এই বর্ণবাদ এবং ইসলামোফোবিয়া  বহুসংস্কৃতিবাদের জন্য ক্ষতিকর।” সেফটন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা।  সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এর এক-তৃতীয়াংশ অধিবাসী  ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ফেডারেল শিক্ষামন্ত্রী  জেসন ক্লেয়ার  সোমবার সাংবাদিকদের বলেন,  সব ধরনের বর্ণবাদকে মোকাবিলা করতে হবে। ক্লেয়ার বলেন, “ আমাদের উচিত হবে দেশজুড়ে সংঘটিত  সব ধরনের বর্ণবাদের নিন্দা জানানো।”  ইহুদি গোষ্ঠীগুলোও  ইসলামবিরোধী   দেয়ালচিত্রের  নিন্দা জানিয়ে বলেছে,  এই ‘ঘৃণ্য’ ঘটনাটি  পুরো সম্প্রদায়ের জন্য পীড়াদায়ক হবে।  তবে মুসলিম নেতারা বলেন,  মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এ ধরনের বিদ্বেষমূলক অপরাধকে অস্ট্রেলিয়া রাজনীতিবিদরা গুরুত্বের সাথে নেননি। লেবানিজ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি গামাল খেইর সোমবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেন,  কর্তৃপক্ষের আরো কিছু করা উচিত।  খেইর বলেন, “অন্তর্নিহিত বর্ণবাদী উপাদান বিদ্যমান রয়েছে,  তা ইহুদীবিদ্বেষী,  ইসলামবিদ্বেষী বা অন্য যে ধরনের বর্ণবাদই  হোক না কেন,  যা মোকাবিলা করা হচ্ছে না। আমরা সরকারকে এটিকে রাজনৈতিক ফুটবলে পরিণত করা বন্ধ করার আহবান জানাচ্ছি  যেখানে রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিকভাবে  পয়েন্ট-স্কোর  করার চেষ্টা করছেন।” অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ আরেকটি ইহুদিবিদ্বেষী হামলার তদন্ত করছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে  সিডনিতে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় এবং ইসরায়েল বিরোধী দেয়ালচিত্র এঁকে  সম্পদ ভাঙচুর করা হয়।   অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ  সম্প্রতি  মেলবোর্নের  একটি সিনাগগে  অগ্নিসংযোগের পর ইহুদিবিদ্বেষী  অপরাধ মোকাবিলায় নতুন একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র হামলাকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করছে।
সম্পূর্ণ পড়ুন