রবিবার অন্তত ৩১জন সন্দেহভাজন মাওবাদী বিদ্রোহী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ভারতের মধ্যাঞ্চলের এই ঘটনাকে এ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে অভিহিত করেছে পুলিশ।
ছত্তিশগড় রাজ্যের ইন্দ্রবতী এলাকার জঙ্গলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শত শত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেন। রাজ্যের পুলিশ পরিদর্শক জেনারেল পাত্তিলিঙ্গাম সুন্দাররাজ জানান, সেখানে অসংখ্য বিদ্রোহী জমায়েত হয়েছে, এমন তথ্য পেয়ে তারা এই অভিযানে এগিয়ে যান।
সুন্দাররাজ বলছেন, পুলিশ ও সেনারা তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় জঙ্গলে সংঘাত দেখা দেয়। এতে অন্তত ৩১ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। অপর দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তিনি জানান, এখনো ওই এলাকায় তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং যোদ্ধারা স্বয়ংক্রিয় রাইফেলসহ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছেন।
বিদ্রোহীদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিবৃতি আসেনি।
পুলিশের পরিদর্শক জিতেন্দ্র যাদব জানান, রবিবারের এই ঘটনাটিই এ বছরের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ এবং এক মাসের ব্যবধানে ছত্তিশগড়ে দ্বিতীয়, বড় আকারের সংঘাতের ঘটনা।
ভারতীয় সেনারা দেশটির মধ্য ও উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ১৯৬৭ সাল থেকে মাওবাদী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে। নকশাল নামেও পরিচিত এই বাহিনীর সদস্যরা দেশটির দরিদ্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আরও চাকরি, ভূমি ও এ এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদে আরও বেশি করে ভাগ পাওয়ার দাবিতে সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে। এই গোষ্ঠী চীনের বিপ্লবী নেতা মাও জেডংয়ের জীবন-দর্শন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে থাকে।
বিদ্রোহীরা পুলিশের বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে, সরকারি কার্যালয় ধ্বংস করেছে এবং কর্মকর্তাদের অপহরণ করেছে। একইসঙ্গে তারা বিস্ফোরক দিয়ে রেলপথ উপড়ে ফেলেছে, নিজেদের সহযোদ্ধাদের মুক্ত করতে কারাগারে হামলা চালিয়েছে এবং পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরা সশস্ত্র হয়েছে।