মধুকে প্রকৃতির মিষ্টি অমৃত বলে অভিহিত করা হয়। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান রয়েছে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হলুদ। নানা রোগের ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হয় একে।
তাই নিয়মিত মধু দিয়ে কাঁচা হলুদ খেলে অনেক জটিল রোগ থেকেও দূরে থাকা যায়। আসুন তা একে একে জেনে নিই:
১। চিকিৎসকরা প্রদাহ প্রশমিত করতে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
২। এক টুকরো কাঁচা হলুদ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।
৩। কাঁচা হলুদে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরে ক্যানসার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
৪। যদি ভুলে যাওয়ার সমস্যা থাকে কিংবা স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে তবে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
৫। মস্তিষ্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে কাঁচা হলুদ।
৬। মেটাবলিজমের হার বাড়ায় কাঁচা হলুদ। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা কাঁচা হলুদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: শীতে প্রকৃতির মিষ্টি অমৃত মধু খাওয়ার উপকারিতা
৭। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও বয়সের ছাপ রুখে দিতেও দারুণ কাজ করে কাঁচা হলুদ।
৮। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে কাঁচা হলুদ। এছাড়া শরীরে আলসার বা ঘায়ের প্রবণতা থাকলে তার প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুন: শীতে কেন খাবেন খেজুরের গুড়?
৯। হলুদ সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি সর্দি কাশির মতো সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সতর্কতা: অতিরিক্ত কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমিয়ে শরীরে আয়রনের ঘাটতি তৈরি করে। ক্ষেত্রবিশেষে ত্বকের নানান জটিলতার কারণও হয়ে ওঠে কাঁচা হলুদ। তাই নিয়মিত ছোট আকারের এক টুকরো কাঁচা হলুদের বেশি কখনই খাবেন না।
সূত্র: আনন্দবাজার
]]>