নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও এখানে হয়নি নতুন ভবন। হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় ভুতুড়ে পরিবেশ। ঝুঁকি নিয়েই পুরানো ভবনেই চলছে ৫০ শয্যার সেবা। চিকিৎসক থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী সবকিছুতেই সংকট। নেই পর্যাপ্ত ওষুধও।
এমন বেহাল দশায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। জনবল সংকটে অসহায় অবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সেবাপ্রত্যাশীরা জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির এমন বেহাল দশা। তাদের উদাসীনতার কারণে এখানে এসে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, এখান সাবেক যে জনপ্রতিনিধি ছিলেন তিনি মদন উপজেলার প্রতি কোনো খেয়ালই রাখেন নি। ফলে অবহেলার শিকার এখানকার মানুষ। ভবিষ্যতে উন্নয়ন ও সেবা পাবেন জনগণ।
আরও পড়ুন: গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা কম, ভোগান্তিই বেশি
নেত্রকোনা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. মো. তায়েব হোসেন বলেন, ৩০ জনের চিকিৎসক পদ থাকলে লোকবল আছে মাত্র হাতেগোণা কয়েকজন। ফলে চাপ বাড়ছে চিকিৎসকদের ওপর, পাশাপাশি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরাও।
নেত্রকোনা মদন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হুদা খান বলেন, কমপ্লেক্সের বেহাল দশার কারণে চিকিৎসকরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। পাশাপাশি নতুন কোনো চিকিৎসকও এখানে আসতে উৎসাহিত হচ্ছেন না।
তবে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর জানায়, নতুন করে ভবন নির্মাণে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। নেত্রকোনা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এফ এম আনিছুর রহমান বলেন, নতুন করে ভবন নির্মাণে কাজ চলছে। এরই মধ্যে ডিপিপি প্রণয়নের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করা হবে।
১৯ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও হাসপাতালটিতে ২৯ জন চিকিৎসকের জায়গায় বর্তমানে মাত্র ৩ জন কর্মরত আছেন। এছাড়া আরও ৬ জন নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও তারা অন্যত্র নিয়োজিত রয়েছেন।
]]>