মতলব উত্তরে বাড়ছে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই ও মাদকসেবী, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

১ দিন আগে
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় হঠাৎ করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরমভাবে অবনতি হয়েছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাত হলেই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ছে অপরাধ। বিশেষ করে মেঘনা-ধনাগোদা নদীবেষ্টিত এলাকাগুলো হয়ে উঠেছে অপরাধীদের ‘সেফ জোন’।

 

সম্প্রতি দুর্গাপুর ইউনিয়নের পূর্ব কলসভাঙ্গা গ্রামে বিজিবি সদস্য মো. নাঈমের বাড়িতে ডাকাতি হয়। দরজার তালা ভেঙে আলমারি থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় ডাকাতদল। একই রাতে বাড়িভাংগা গ্রামের মো. মহন মিয়ার বাড়ি থেকে সমস্ত মালামাল চুরি হয়।

 

এছাড়া বারোআনী গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মো. মোফাজ্জল হোসেন দেওয়ানের বাড়ি থেকে তিনটি গরু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। বাধা দিলে তার দুই ছেলেকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

 

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি-দখলদারী: চাঁদপুরে বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার

 

অটোচালক নুর হোসেন, শাহাদাৎ, সোহাগসহ আরও অনেকেই চুরি ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক হোসেন জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, হাইওয়ে ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিনই অপরাধ ঘটছে। টহলের অভাবে এসব এলাকায় অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে।

 

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হক জানান, বেশিরভাগ চুরির ঘটনা ঘটছে ফাঁকা বাড়িঘরে। ইতোমধ্যে কিছু মালামাল উদ্ধার এবং চোর দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির বলেন, চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকা তৈরি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, ‘মতলব উত্তরের কয়েকটি স্থানে চুরি ও মাদক সংক্রান্ত ঘটনা বেড়েছে। তাই থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ টহলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অভিযান চালানো হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ বদ্ধপরিকর।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন