শুক্রবার (৩০ মে) সকাল থেকেই মেঘলা আকাশে ঘোমট আবহাওয়া ছিল।
এদিকে শুক্রবারের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে জেলার দুর্গম চরাঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ঘেরের মাছ ও গবাদি পশু। আর লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার থেকে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, বৃহস্পতিবার বিকালের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ৫ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০৪টি ঘর। এরমধ্যে চরফ্যাশনের ঢালচর, চর পাতিলা, কুকরীমুকরীতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকালে ভাঙা বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। এসময় তিনি আরও জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় শুকনো বিতরণ শুরু হয়েছে। তজুমদ্দিনে দুর্গতদের মাঝে জেলা প্রশাসক ত্রাণ বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে নিম্নচাপজনিত প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা ও পাহাড় ধসের শঙ্কা
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে ভোলার তজুমদ্দিন তজুমদ্দিনে নির্মাণাধীন রিংবাঁধ ও লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দাবাদ মৌলভী আব্দুল গণি সাহেবর বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সেই বাঁধ নির্মাণে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা জানান, লালমোহনের ছুটে যাওয়া ২০ মিটার বাঁধ ক্লোজ (বন্ধ) করা হয়েছে। তজুমদ্দিনে ছুটে যাওয়া রিংবাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে। লোকালয়ে জোয়ারে পানি ঢোকা বন্ধ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে মেঘনার জোয়ার বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ২টি স্থানে বাঁধ ছুটে যায়।
এদিকে মেঘনার মধ্যবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে ঘরবাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মহিষ ভেসে যাওয়ার কবর পাওয়া গেছে। জোয়ারের পানিতে সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। ঝড় জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে ভোলাকে রক্ষায় টেকসই বাঁধের দাবি জানান তজুমদ্দিনের ক্ষতিগ্রস্তরা।