ভোলায় স্বামীর কাছে যাওয়ার পথে অপহরণ হয়েছিলেন সেই নারী

১ সপ্তাহে আগে
ভোলায় স্বামীর কাছে যাওয়ার সময় অপহরণ হয়েছিলেন হাত-পা বেঁধে পলিথিনে মুড়িয়ে ফেলে যাওয়া সেই নারী।

রোববার (২৯ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।


ওই নারীর দেয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, বরিশাল রূপাতলী গ্যাসটারবাইন এলাকার বাসিন্দা নারীর স্বামী ভোলায় ব্যবসা করেন। তিনি স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে বাসা থেকে বেড়িয়ে বরিশাল নদী বন্দরে যান। বন্দরে পৌঁছার আগেই ভোলাগামী শেষ ট্রিপের লঞ্চটি ছেড়ে যায়। লঞ্চ ধরার জন্য চরকাউয়া খেয়া পার হয়ে গাড়িতে সন্ধ্যার পরে লাহারহাট লঞ্চঘাটে পৌঁছান ওই নারী।


আরও পড়ুন: মহাসড়কের পাশে পলিথিনে মোড়ানো এসিডদগ্ধ এক নারী উদ্ধার


ওসি রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গৃহবধূর চেষ্টা ছিল বরিশাল থেকে মিস করা লঞ্চটি লাহারহাট লঞ্চঘাটে পাবেন এবং তাতে চড়ে ভোলায় স্বামীর কাছে যাবেন। দুর্ভাগ্য তিনি লাহারহাট ঘাটে পৌঁছার আগে সেখান থেকেও লঞ্চটি ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। শেষে বাসায় ফেরার জন্য লাহারহাট থেকে রূপাতলীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।’


গৃহবধূর বর্ণনা অনুসারে ধারণা করা হচ্ছে, চরকাউয়া জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে গাড়িতে তুলে তাকে অপহরণ করা হয়।


ওসি বলেন, ভিকটিমের শরীরে ফোসকা দেখা গেছে। এসিড মারা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত না; তবে অন্য কোনো রাসায়নিকও দিতে পারে। যেহেতু নারী খুবই অসুস্থ, তাই তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা বলতে পারছেন না। চিকিৎসক তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ভিকটিম কিছুটা সুস্থ হলে বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে।


আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ধর্ষণের শিকার নারীকে নিরাপত্তা ও চিকিৎসার নির্দেশ


ওই গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ। যদিও ধারণা করছে, শনিবার রাত ৯টার মধ্যে তিনি অপহরণের শিকার হন ওই নারী। এরপর তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে কি কি ঘটেছে এবং কারা এই ঘটনায় জড়িত তা উন্মোচনে কয়েকস্তরের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


উল্লেখ্য, বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের তালুকদারহাট এলাকা থেকে মাঝবয়সী গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা, পলিথিনে মোড়ানো নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন