গত ৪ মে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, মো. নাজিম উদ্দিন ২০১৩ সালের ১৯ জুন আদালতের ক্যাশিয়ার পদে যোগদান করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে আদালতের ক্যাশ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুন: কৃষকদল-যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে লালমনিরহাটে বদলি হলেও তিনি এই টাকা ফেরত দেননি। পরে ২০২২ সালের জুন মাসে পুনরায় ভোলা আদালতে নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি পুনরায় ক্যাশের দায়িত্বে থাকা মো. আবুল হাশেমের কাছ থেকে আরও পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা হাওলাত হিসেবে গ্রহণ করেন।
এই দুই ধাপে গৃহীত মোট ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে বর্তমানে মাত্র চার লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। বাকি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা এখনও আদালতের ক্যাশে জমা দেননি।
আরও পড়ুন: পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ সংগঠকের অর্থ আত্মসাত, দুদকের মামলা
আদেশে আরও বলা হয়েছে, এই অর্থ আত্মসাৎ ও অপসারণের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর তিনি আদালতের কাছে মৌখিকভাবে তিন মাসের সময় চেয়ে টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও তিনি পুরো অর্থ ফেরত দেননি।
এ অবস্থায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দিয়েছেন, অবশিষ্ট অর্থ ১০ দিনের মধ্যে জমা না দিলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ফৌজদারি আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আদেশের অনুলিপি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট নেজারত ক্যাশিয়ার এবং অফিস কপির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অবগত করা হয়েছে।