বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিলো, কোনো হলে চূড়ান্ত ভোট গণনা হবে না। সব হল তথা ভোট কেন্দ্রে গ্রহণ করা ভোট সিনেট ভবনে এনে গণনা করা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়ও সব হলের ভোট সিনেট ভবনে এসে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন সেখানে উপস্থিত সময় সংবাদের প্রতিবেদকরা।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মীর মোশাররফ হোসেন হলেন প্রভোস্ট মাহমুদুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ৫টায় ভোট শেষ হয়েছে। তারপর প্রায় এক ঘণ্টা পার হয়েছে। আপনারা এখনো হল কেন্দ্রেই রয়েছেন। আসলে সময়টা কী কারণে ব্যয় হয়েছে, ভোট গণনার প্রক্রিয়াটি এভাবে বিলম্বিত হচ্ছে কেন?
জবাবে তিনি বলেন, যে ভোটগুলো পড়েছে সেগুলো গোছানো দরকার। এরমধ্যে মাস্টার্সের কতগুলো ভোট পড়েছে, অনার্সের কতগুলো পড়েছে সেটা গণনা করেছি। আমাদের কিছু ব্যালট নষ্ট হয়েছে, যেগুলো আমরা আলাদা করে ফাইলে রেখেছি। কতগুলো ব্যালট বক্সে পড়েছে সেটার হিসাব রেখেছি, কতগুলো ব্যালট কমিশনের কাছে ফেরত দিয়েছি সেই হিসাবটাও করেছি- এই তিনটা হিসাব করতে আমাদের এই সময়টুকু লেগেছে। সম্পূর্ণ হিসাব আমাদের হাতে চলে এসেছে। এখন সিনেট ভবনে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের জাকসু নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে যা বললেন বিএনপির প্রিন্স
কী কী কারণে ব্যালট নষ্ট হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনটা ব্যালটে আমরা দেখেছি, পেছনে ছাপা- সেগুলো আমরা নষ্ট হিসেবে ধরেছি। ওই শিক্ষার্থীদের পরে আমরা আরেকটা করে ব্যালট দিয়েছি। দুটো ব্যালট ছিলো একদিকে ছেড়া, এরকম বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়েছে।
সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল কেন্দ্রে মোট ২২৪টি বুথে ভোট দেন শিক্ষার্থীরা।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১,৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ৫,৭২৮ জন এবং ছাত্র ৬,০১৫ জন। নির্বাচনে ২৫টি পদে মোট ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে এরইমধ্যে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল এবং ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’।