ভোক্তার অভিযানে খুলনা বিভাগে ১৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ঈদুল আজহা সামনে রেখে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৩ জুন) পরিচালিত এই অভিযানে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে মোট ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলার সহকারী পরিচালকদের নেতৃত্বে মাঠপর্যায়ে এই তদারকি অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে চাল, ভোজ্যতেল, গ্যাস, ওষুধ, আলু, দেশি পেঁয়াজ, সবজি, মুরগি ও ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাচাই, ক্রয় ভাউচার পরীক্ষা এবং পণ্যের মান পর্যবেক্ষণ করা হয়। ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।


খুলনা মহানগরীর সদর থানার নতুন বাজার ও রূপসা ট্রাফিক মোড় এলাকায় উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ‘মা ফার্মেসি’কে যথাযথ পণ্য সরবরাহ না করার দায়ে ৫ হাজার টাকা এবং ‘বাদশা ফার্মেসি’কে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রির দায়ে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকায় সহকারী পরিচালক দিনারা জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ‘সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারি’কে অবৈধভাবে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ৩ হাজার এবং ‘প্রথম স্বাদ রেস্টুরেন্ট’কে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরও পড়ুন: খুলনায় বিভাগে ভোক্তার অভিযানে ১৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

খুলনা মহানগরীর নেভী চেক পোস্ট ও বিআইডিসি রোড এলাকায় সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ‘নিউ জনতা ফার্মেসি’কে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ৬ হাজার এবং ‘এ. রাজ্জাক সুইটস’কে খাদ্য উৎপাদনে অনিয়মের কারণে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।


মাগুরা সদর উপজেলার জামরুলতলা বাজারে সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মেদের অভিযানে ‘তালুকদার স্টোর’কে পণ্যের মোড়ক যথাযথভাবে ব্যবহার না করায় ২০ হাজার এবং ‘অপূর্ব পাল অ্যান্ড সন্স’কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 


কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস বাজারে সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলীর অভিযানে ‘রান্নাঘর হোটেল’কে অবৈধভাবে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা বাজারে সহকারী পরিচালক শামীম হাসানের অভিযানে ‘রনজিৎ স্টোর’কে পণ্যের মোড়কে অনিয়ম ও মূল্য তালিকা না থাকায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।


যশোরের নুড়িতলা বাজারে সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামানের অভিযানে ‘নিউ আল-আমিন সেমাই কারখানা’কে ৭ হাজার টাকা, মেহেরপুর সদর বাজারে সহকারী পরিচালক মো. মামুনুল হাসানের অভিযানে ‘সোনালী বীজ ভান্ডার’কে ৫ হাজার টাকা এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটখোলা বাজারে সহকারী পরিচালক নিশাত মেহেরের অভিযানে ‘ডি আরিয়ান স্টোর’কে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরও পড়ুন: ভোক্তার অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর বাজারে সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীরের অভিযানে ‘তৌহিদ স্টোর’কে ৫০০, ‘সেতু ফার্মেসি’কে ২ হাজার এবং ‘মিজান স্টোর’কে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অভিযানে ব্যবসায়ীদের সচেতন করার পাশাপাশি পণ্যের মূল্য তালিকা প্রকাশ, ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত দামে বিক্রয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ভোক্তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন কর্মকর্তারা। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বার্থে বাজার তদারকি ও অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে।

]]>