মির্জাগঞ্জ থেকে পটুয়াখালী জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র প্রধান সড়ক এটি।
সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। চলাচল উপযোগী রাখতে ইট দিয়ে সড়কটি অস্থায়ী মেরামত করা হলেও ভারী যানবাহনের চাপে সেগুলো ভেঙে-চুরে দেবে গিয়ে এখন বেহাল অবস্থা। এ চিত্র পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ সড়কের। এ সড়ক দিয়েই মির্জাগঞ্জ উপজেলাসহ বরগুনা জেলার হাজার হাজার মানুষ পটুয়াখালী জেলা সদরে আসে। আবার শহর থেকেও চাকরিজীবীরা যান উপজেলাটিতে।
এছাড়া পণ্য পরিবহনসহ ভারী যানবাহন চলাচল করায় জেলার অন্যতম ব্যাস্ত সড়ক এটি। ভাঙাচোরা এ সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। অন্য পথে জেলা সদরে আসতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেশি ঘুরতে হয়। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে দুর্ভোগের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করে মানুষ। এছাড়া যানবাহন চলাচল করলে ধুলায় ধুসরিত হয়ে পড়ছে চারদিক। এতে যাত্রীসহ আশপাশের মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগব্যাধির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রোড সেফটির প্রতিবেদন / মার্চে সড়কে ঝরেছে ৬০৪ প্রাণ
কালাম তালুকদার নামে একজন এনজিও কর্মী বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন চাকরির সুবাদে পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে মির্জাগঞ্জ যেতে হয়। রাস্তার ধুলাবালির যে অবস্থা তাতে আমার দিন দিন শ্বাসকষ্ট বেড়েই চলছে। তাই অতিসত্বর রাস্তাটি সংস্কার করা হোক।’
নাম বলতে অনিচ্ছুক আরেকজন চাকরিজীবী বলেন, ‘গত দুবছর আগেই সড়কটি করা হয়েছিল বছর যেতে না যেতেই সড়কটি বেহাল অবস্থা। সড়কটি মেরামত না করে নতুন করে কাজ করা দরকার। এখন যদি রাস্তাটি না করা হয় তাহলে বর্ষার সময় আমাদের যাতায়াতের ভোগান্তির শেষ থাকবে না।’
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার লিমন বলেন, ‘সাধারণ জনগণ যাতে এই সড়ক দিয়ে স্বাচ্ছন্দ চলাচল করতে পারে। তাই দ্রুত সময়ে সড়কটি সংস্কারের করা হবে।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৪ বছরেও হয়নি সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ
পটুয়াখালী থেকে মির্জাগঞ্জ পর্যন্ত ১৬ কিমি সড়কের মধ্যে মির্জাগঞ্জ অংশে ৪ কিলোমিটার এবং পটুয়াখালী অংশে ৫ কিলোমিটার সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । তবে স্থানীয়রা দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটির দ্রুত সংস্কার চান সকলে।