ভিনিসিউস ক্যামেরুনের টিকার গোত্রের অন্তর্গত। এই গোত্রের লোকেরা আঁকাআঁকিতে পারদর্শী, গল্পকার হিসেবেও সুপরিচিত। একসময় এরা যাযাবর জীবন যাপন করত, পরে বর্তমান সুদানের নীল নদ উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে। যা স্থানান্তরিত হয়েছিল উত্তর নাইজেরিয়া থেকে পশ্চিম ক্যামেরুনের উচ্চভূমি পর্যন্ত।
আফ্রিকান এনচেস্ট্রি ডটকমের সহযোগিতায় ভিনিসিউসের পূর্বপুরুষদের পরিচয় বের করা হয়েছে সিবিএফের ‘রুটস অব গোল্ড’ ক্যাম্পেনের মাধ্যমে। বুধবার (২০ নভেম্বর) ফন্তে নোভায় উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের আগে পূর্বপুরুষদের পরিচয় সংবলিত একটি সনদ ভিনির হাতে তুলে দেয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভিনি, তার বাবা ভিনিসিউস অলিভেইরা, সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রগ্রিগেজ ও আফ্রিকান এনচেস্ট্রি ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জিনা পাইজ।
আরও পড়ুন: 'মেসিকে ছুঁলেই ফাউল', কীসের ইঙ্গিত দিলেন পেরু ফুটবলার
সনদ নেয়ার সময় ভিনি বলেন, ‘ক্যামেরুনে শেকড়ের সন্ধান পাওয়া আমার ও আমার পরিবারের জন্য বিশেষ মুহূর্ত। এটা মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের শেকড় ও ইতিহাসের মূল্য আছে।’ ভিনির বাবা বলেন, ‘আমরা কোথায় থেকে এসেছি, এটা জানা প্রয়োজন ছিল। অনেক ব্রাজিলিয়ান তাদের শেকড় কিংবা ঐতিহ্য সম্পর্কে জানে না। ক্যামেরুনে আমাদের শেকড়, আমি অনেক খুশি।’
আরও পড়ুন: নেইমারের ফেরা নিয়ে যা বললেন ব্রাজিলের কোচ
রদ্রিগেজ বলেন, ‘ভিনিকে উদ্যাপনের মানে হলো সমস্ত ব্রাজিলিয়ানদের সাফল্য উদযাপন করা। তার পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করি, আমাদের পরিচয় এবং বিশ্ব ফুটবলে আমাদের সাফল্যে আফ্রো-ব্রাজিলিয়ান সংস্কৃতির মৌলিক ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয়।’
জিনা পাইজ বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি ভিনির পূর্বপুরুষরা ক্যামেরুনের টিকার উপজাতির অন্তর্গত। আমরা বিশ্বাস করি, ভিনির আফ্রিকান শেকড়ের সঙ্গে পুনঃসংযোগ একটি শক্তিশালী কাজ। যা ফুটবলের মাঠে এবং বাইরে সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য তার সমর্থনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’