মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ম্যাচ শুরু রাত দেড়টায়।
প্যারিসে যখন জাঁকজমক আয়োজনে ব্যালন ডি’অর তুলে দেওয়া হচ্ছিল উসমান দেম্বেলের হাতে, তখন মাঠের অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। দলগতভাবে ব্যালন প্রোগ্রাম বয়কট করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ, তাই ইচ্ছা থাকলেও সেখানে ছিলেন না দেম্বেলের ফরাসি সতীর্থ। তবে, মনে মনে হয়তো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করছিলেন নিজেকে, আগামী মৌসুমটা হবে শুধুই তার।
যার জন্য প্রয়োজন পারফরম্যান্স, গোল আর ট্রফি। যে তিন বিবেচনায় মৌসুমের শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য কিলিয়ান। লা লিগায় টানা ৫ ম্যাচে জয় পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোস। যেখানে সমান ৫টি গোল এমবাপ্পের। অ্যাসিস্টও আছে একটি। এবার ষষ্ঠ ম্যাচেও এমবাপ্পের কাছ থেকে এমন কিছুরই প্রত্যাশা শাবি আলোনসোর।
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ বলেন, ‘ব্যালন ডি অর নিয়ে ভাবার সময় কই ? আমি এখন লেভান্তের জন্য কৌশল সাজাচ্ছি। ছেলেরা দারুণ ছন্দে আছে, এমবাপ্পে গোল পাচ্ছে। আমার জন্য এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: রিয়ালের পাঁচে পাঁচ
ওসাসুনা দিয়ে শুরু এস্পানিওলে শেষ। মাঝে লা লিগা থেকে সরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একই ছন্দে মাদ্রিদিস্তা। মার্শেই হেরেছে ২-১'এ। কিন্তু এরপরও টিম কম্বিনেশন নিয়ে ছন্দে নেই রিয়াল মাদ্রিদ। বিশেষ করে এমবাপ্পের দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ একা করে দিয়েছেন ভিনিসিউসকে। সব ম্যাচে শুরুর একাদশে না থাকা এবং কম ম্যাচ টাইমের অসন্তোষে পারফরম্যান্সেও যার প্রভাব স্পষ্ট। যদিও, বিষয়টি মানতে রাজি নন কোচ।
তিনি বলেন, ‘আমার সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সবাই খুশি। আমি সবাইকে সবার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি, তারা সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছে। আমি নিজেও খুবই খুশি ভিনির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে। আমাদের মৌসুম মাত্র শুরু হলো। আমি তাকে বলেছি, খুব দ্রুতই সে আবার আগের মতো দলকে ডমিনেট করবে।’
লেভান্তে ম্যাচের আগে দলকে একাট্টা রাখতে ভালোই কশরত করতে হছে শাবিকে। মোটা দাগে সেখানে সফলও বলা যায় তাকে। কিন্তু ইনজুরি নিয়ে বিপাকে আলোনসো। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি ৮ সপ্তাহের জন্য কেড়ে নিয়েছে আর্নল্ডকে। রুডিগার, মেন্ডিও নেই বিবেচনায়। তবে, কার্ড নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরছেন হুইসেন। গুলার-দিয়াজ, বেলিংহ্যাম-কামাভিঙ্গা সবাই প্রস্তুত শুরুর একাদশের জন্য।
আলোনসো বলেন, ‘সব ম্যাচই কঠিন। প্রতিপক্ষ কখনো সহজ হয় না। আমাদের ইনজুরি সমস্যা আছে তবে আমি বিকল্প খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করছি। আশা করবো, ছেলেরা দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নেবে।’
আরও পড়ুন: গেতাফেকে পাত্তাই দিল না বার্সেলোনা
মুখোমুখি দেখার ইতিহাসে যোজন যোজন এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ২৪ ম্যাচের ১৫টিতেই জিতেছে লস ব্লাঙ্কোস। ৪টি ম্যাচ শেষ হয়েছে অমীমাংসীতভাবে। আর বাকি ম্যাচে জয়ী লেভান্তে।
]]>