ভিডিও গেমসে অর্ধনগ্ন কার্টুন দেখার বিধান কী?

৪ সপ্তাহ আগে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে প্রায় সবকিছু হয়ে যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। একটি স্মার্ট ফোন দিয়ে ঘরে বসেই অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। অফিসের কাজ, ব্যক্তিগত কাজ, বিনোদন, সামাজিক যোগাযোগ সবই এখন হয় কয়েকটি ক্লিকে।

আগে ভিডিও গেমস খেলার জন্য বাজারে যাওয়া লাগতো এখন সেটার প্রয়োজন পড়ে না। মোবাইলে ফ্রিতেই পাওয়া যায় এসব। এছাড়া কম্পিউটার আগের চেয়ে সহজলভ্য হওয়ায় অনেক ভারী ভিডিও গেমস ঘরে বসে খেলা যায়।

 

এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে, ভিডিও গেমসে অর্ধনগ্ন যেসব নারী চরিত্র থাকে সেসব দেখলে কি চোখের জিনার (ব্যভিচার) অন্তর্ভুক্ত হবে? অনেকেই যুক্তি দেন, যেহেতু এসব বাস্তব নারীর মতো হুবহু দেখা যায় না তাই এসব দেখলে সমস্যা নেই।

 

এক্ষেত্রে ইসলামি বিধান হলো, বাস্তব নারী, নারীর ছবি, নারীর কার্টুন সব কিছুর বিধান একই। অশ্লীলতা সর্বদা পরিহার করতে হবে। তাই যেকোনো ভিডিও গেমসে নারী চরিত্র থাকলে কোনো পুরুষ তার দিকে তাকাতে পারবে না। তাই সেসব ভিডিও গেমস খেলাও জায়েজ হবে না।

 

আরও পড়ুন: সুরা কাহাফে বর্ণিত ৪ ঘটনার ৪ সমীকরণ

 

একই বিধান গেমসে থাকা পুরুষ চরিত্রের বেলায়েও। কোনো নারীর জন্য উচিত নয় পুরুষের অশ্লীল কার্টুন দেখা। (রদ্দুল মুহতার ৫/২৩৭, বুলুগুল কসদি ওয়াল মারাম ১৯)

 

মনে রাখতে হবে, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুমিন নারী ও পুরুষকে চোখের হেফাজত করতে বলেছেন (সুরা নুর ৩০-৩১)। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও চোখ দিয়ে দেখা অশ্লীল কার্যাবলীকে চোখের জিনা হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন (আবু দাউদ ২১৫২)। তাই চোখের হেফাজতের জন্য যেকোনো অশ্লীল দৃশ্য থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

 

এছাড়া আল্লাহ তাআলার প্রতি যারা ঈমান এনেছেন তাদের উচিত নয় ভিডিও গেমসে সময় নষ্ট করা। কেননা কেয়ামতের দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষণের হিসাব দিতে হবে। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের প্রতিটি সময় অনেক মূল্যবান। যে যত বেশি ভালো কাজ করবে সে তত বেশি কেয়ামত দিবসে এগিয়ে থাকবে। তাই ভালো কাজে নিজেকে কাজে লাগানোর জন্য অযথা সময় নষ্ট করা পরিত্যাগ করতে হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন