বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বুধবার রাত ৮টা থেকে একযোগে পাঁচটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিট ১ ও ২ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে ৪৬ মেগাওয়াট করে মোট ৯২ মেগাওয়াট, আর ইউনিট ৩, ৪ ও ৫ থেকে প্রতিটিতে ৪০ মেগাওয়াট করে মোট ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রয়েছে ৯৬ দশমিক ৪১ ফুট মিনস সি লেভেল (MSL)। যেখানে রুল কার্ভ অনুযায়ী এ সময় পানির স্বাভাবিক লেভেল হওয়ার কথা ছিল ৮৫ দশমিক ২৮ ফুট। হ্রদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৮ ফুট MSL।
আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে বেড়েছে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েকদিন ধরে রাঙামাটি ও আশপাশের জেলায় টানা ভারী বর্ষণ হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পানি হ্রদে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘পানি নির্ভর এই কেন্দ্রটি পূর্ণ সক্ষমতায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলেও দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাঁচটি ইউনিট একসাথে চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় প্রথমবারের মতো একযোগে সব ইউনিট চালু করা হলো।’
বর্তমানে কাপ্তাই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়ে দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়তা করছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।