সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় টানা ভারি বর্ষণের কারণে সুয়ালক-লামা সড়কটির বিভিন্ন স্থান ধসে পড়েছে। এতে শুধু স্থানীয়দের যাতায়াতে সমস্যা নয়, ভারী যানবাহন চলাচল না করায় স্থানীয়দের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করাও সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের।
জেলা শহর থেকে লামা উপজেলায় যাতায়াতে অভ্যন্তরীণ বিকল্প সড়ক হিসেবে সড়কটি ব্যবহার করে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মোটরসাইকেল, সিএনজি, ট্রাকসহ ভারী ও হালকা বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটিতে ধীরে ধীরে ভাঙন দেখা দিলেও সংস্কার না করায় গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে সড়কের একটি বিশাল অংশ ধসে যায়। এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় ভারী যান চলাচল।
ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার। বিভিন্ন অংশ ধসে পড়লেও জেলা শহর থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে টংকাবতী ইউনিয়নের সামনে সড়ক ভাঙনের চিত্রটি ভয়াবহ ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ । সড়ক কার্পেটিং করা হলেও মাত্র তিন বছরের মাথায় ধসে পড়েছে বিভিন্ন অংশ।
বেহাল দশার ফলে এখন মরণ ফাঁদে রূপ নিয়েছে সড়কটি। তাছাড়া ভাঙা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারের সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন চলাচলকারীরা।
আরও পড়ুন: পাহাড় ধসের আশঙ্কা, লামায় ৬০টি রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
স্থানীয় বাসিন্দা তঙ্গয়ে ম্রো জানান, লামা-সুয়ালক সড়কটির দুই বছর আগে কোটি টাকা খরচে কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু এখনই এমন বেহাল অবস্থা। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেবে যাচ্ছে সড়কটি। একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
টংকাবতি ইউপি চেয়ারম্যান মায়াং ম্রো জানান, রাস্তাটির বিষয়ে গত বছর এলজিইডি নির্বাহী অফিসার ও সদর উপজেলা অফিসে বলার পরও কোনো কাজ হয়নি। এখন আবার বর্ষা শুরু হয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে সড়কটি পুরোপুরি ধসে যেতে পারে।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাসাউর বলেন, সড়কটির বেহাল দশার কথা আমি জানতাম না। শোনার সাথে সাথে সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ সালে সুয়ালক-লামা সড়কটি বাস্তবায়ন করেছিল বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর।
]]>