দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টান টান উত্তেজনায় পূর্ণ ফাইনালে ভারত তিলক ভার্মা ও শিভম দুবের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয় পায়। কিন্তু এসিসি ও পিসিবির চেয়ারম্যান নাকভির হাত থেকে মেডেল ও ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হতে বিলম্ব হয়। পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আগার হাতে রানার্স আপের পুরস্কার তুলে দিয়ে নাকভি ও অন্যান্য অতিথিরা বিদায় নেন। এরপর ভারতীয়রা মঞ্চে এসে ট্রফি ছাড়াই উদযাপন করে।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ এ ঘটনায় ভারতীয়দের কড়া সমালোচনা করেছেন। এই ঘটনায় ভারতীয়দের সদস্যপদ স্থগিত করা উচিত বলেও দাবি করেন তিনি। এক্সে এক পোস্টে লতিফ লিখেছেন, 'এশিয়া কাপ ২০২৫ ট্রফি এবং পুরস্কার এএসি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ভারতীয় দল আসলে স্থগিতাদেশ পাওয়ার মতো কাজ করেছে। অন্য কোনো খেলায় হলে এটি একেবারে পরিষ্কার শাস্তিযোগ্য মামলার মতো হতো।'
আরও পড়ুন: বাবুর ফাইফারে বরিশালকে হেসেখেলে হারালো রংপুর
তবে, তিনি এও বলেন, ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রভাবের কারণে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। তার ভাষায়, 'আইসিসির চেয়ারম্যান, সিইও, সিএফও, বাণিজ্য প্রধান এবং ইভেন্টস ও কমিউনিকেশনের প্রধান সবাই ভারতীয় হওয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া প্রায় অসম্ভব।'
ঘটনাটিকে 'ক্রিকেটের জন্য কদর্য দিন' আখ্যা দিয়ে লতিফ বলেন, ভারত প্রকাশ্য দিবালোকে ভদ্রলোকের খেলার মূল্যবোধ ও চেতনাকে লঙ্ঘন করেছে। তিনি কঠোর জবাবদিহিতা দাবি করেন, যাতে ক্রিকেটের নৈতিকতা রক্ষা হয়।
ভারতীয়দের একগুয়ে আচরণের কারণে এই সমাপনী অনুষ্ঠানটি, যেখানে আটটি অংশগ্রহণকারী দল উপস্থিত ছিল, প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্বে শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত পুরস্কার বিতরণ করা হয়, যেখানে ভারতের কুলদীপ যাদব, শিভম দুবে এবং তিলক ভার্মা ফাইনালে পারফরম্যান্সের জন্য পুরস্কৃত হন, আর পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলি আগা রানার্সআপ হিসেবে প্রাইজমানি গ্রহণ করেন। পরে কুলদীপ যাদবকে টুর্নামেন্ট সেরা বোলার এবং বাঁহাতি ওপেনার অভিষেক শর্মাকে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বুলবুলের হাত থেকে চেক নিয়ে ছুড়ে ফেললেন পাকিস্তান অধিনায়ক
তবে বিজয়ী দলকে ট্রফি হস্তান্তর ছাড়াই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়। উপস্থাপক সাইমন ডুল ঘোষণা করেন, ‘আমাকে এসিসি জানিয়েছে যে ভারতীয় ক্রিকেট দল আজ রাতে তাদের পুরস্কার সংগ্রহ করবে না। এভাবেই পোস্ট-ম্যাচ প্রেজেন্টেশন শেষ হচ্ছে।’
সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নির্দেশে সূর্যকুমার যাদবে নেতৃত্বাধীন দল নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। অপরদিকে এসিসি সভাপতি নাকভিও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন।