পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) জিও নিউজকে বলেছেন, ‘চুক্তিটি দ্বিপাক্ষিক ছিল। কারণ কোনো তৃতীয় পক্ষ বা বিশ্বব্যাংক এতে জড়িত ছিল না। এই চুক্তি বাতিল নিয়ন্ত্রণ রেখাকে তার আসল অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতি রেখায় রূপান্তরিত করবে।’
১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত সিমলা চুক্তি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে। এ চুক্তি অনুযায়ীই বিতর্কিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস দমন কমিটির সহ-সভাপতি হলো পাকিস্তান
দুই দেশের মধ্যে বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিতে প্রতিশ্রুতির রূপরেখাও দেয়া হয়েছে এই চুক্তিতে।
প্রতিবেদন মতে, কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার ঘটনার পর নয়াদিল্লি একতরফাভাবে সিন্ধু পানিচুক্তি (আইডব্লিউটি) বাতিল করার ঘোষণা দেয়ার পর পাকিস্তান এবার সিমলা চুক্তি নিয়ে এমন মন্তব্য করল। এছাড়া, এর মধ্যেই সামরিক সংঘাতেও জড়ায় দেশ দুটি।
খাজা আসিফের এই মন্তব্যের আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের নিন্দা জানান এবং এটিকে ‘পানি আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেন। এর ‘দৃঢ় প্রতিক্রিয়া’ দেখানো হবে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: জিও নিউজ, দ্য ডন
]]>