অরুণাচলে ভূমিধসে মারা গেছে একই পরিবারের সাতজনসহ নয়জন। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী আট শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করেছে। দুর্যোগপূর্ণ রাজ্যগুলোতে জারি করা হয়ছে রেড অ্যালার্ট।
ভারি বর্ষণের মধ্যে গত শুক্রবার (৩০ মে) অরুণাচল প্রদেশের সেপ্পা-বানা মহাসড়কে সৃষ্ট ভয়াবহ ভূমিধসে গড়িয়ে পড়ে একটি গাড়ি। যাত্রীদের সবাই ছিলেন দুটি পরিবারের সদস্য। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সকলের।
ওইদিন রাতে জিরো শহরের ক্যাবেজ গার্ডেন এলাকায় ভূমিধসে চাপা পড়ে মারা যান এক নারী ও এক পুরুষ—দুজনই কাজ করতেন একটি রেস্তোরাঁয়। রাতভর উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ ও স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: সিকিমে তিস্তা নদীর স্রোতে ভেসে গেলো নির্মাণাধীন সেতু
আসামের গুয়াহাটিতে সেদিন সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহরের একাধিক এলাকা। বোঁদা অঞ্চলে ভূমিধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। প্লাবিত হয়েছে একাধিক জেলা। নদীর পানি বেড়ে গেছে; আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আরও বিস্তৃত বন্যার। জারি রয়েছে লাল ও কমলা সতর্কতা।
মেঘালয় ও মিজোরামেও দফায় দফায় ধস আর প্রবল বৃষ্টিতে প্রাণহানির খবর এসেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। বহু এলাকা এখনও বিচ্ছিন্ন। এদিকে মনিপুরের ইমফল থেকে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী উদ্ধার করেছে বন্যাকবলিত অসংখ্য পরিবারকে।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য মন্ত্রীরা শোক প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট আসনের সাংসদ সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত্রিকালীন ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে নিরাপত্তা কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: গুয়াহাটিতে ৬৭ বছরের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি
]]>