গ্রেফতার শেখ তাইসুখ ইসলাম (২২) কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মনোহরপুরের সোনালী জামে মসজিদ রোডের বাসিন্দা শেখ জহিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার হত্যা মামলার আসামি। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মামুন আহমেদ (১৮) নামে এক হোটেল কর্মচারী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি।
দর্শনা ইমিগ্রেশনের পুলিশ অফিসার তারেক জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে গমনের জন্য তিনি দর্শনা ইমিগ্রেশনে যান। এ সময় সার্ভারে দেখা যায় তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। এরপর তাকে গ্রেফতার করে দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা পান্ডে গ্রেফতার
পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি বলে জানান ইমিগ্রেশন অফিস।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, কুমিল্লার সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ২৭ মে তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তিনি ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযুক্তকে কুমিল্লা পুলিশে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ঘটনাটির ১০ মাস পর ২৭ মে তার ভাই রানু মিয়া বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।