দুবাইতে শনিবার (৩০ নভেম্বর) ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ২৮২ রান তাড়া করতে নেমে ৪৭ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রানে থেমেছে ভারত। পাকিস্তানের পক্ষে একাই ১৫৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন শাহজাইব খান।
এদিন রান তাড়ায় নেমে দলকে ভালো শুরুর বার্তা দিয়েছিলেন আয়ুশ এমহার্তে। কিন্তু মারকুটে এ ব্যাটার বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। দলীয় ২৮ আর ব্যক্তিগত ২০ রানের ইনিংসে আউট হন তিনি। তিন বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন তার ওপেনিং পার্টনার বৈভব সূর্যবংশীও। কিছুদিন আগে আইপিএলের নিলামে কোটি রুপি দাম পেয়ে হৈচৈ ফেলে দেয়া ১৩ বছরের এ ব্যাটার ৯ বলে মাত্র ১ রান করেন।
এরপর আন্দ্রে সিদ্ধার্থ (১৫) ও মোহাম্মদ আমানকেও (১৬) দ্রুত সাজঘরের পথে ফেরান ফাহাম উল হক ও উসমান খান। মিডল অর্ডারে দলের কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন নিখিল কুমার। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কিরন কোরম্যাল (২০)। ৭৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করে নিখিলও আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ভারত।
শেষ উইকেটে অবশ্য মোহাম্মদ ইনান ও যুধজিত গুহার ৪৭ রানের জুটি কিছুটা ভড়কে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। শেষ পর্যন্ত ইনান রান আউটের শিকার হলে জয়ের আনন্দে ভাসে পাকিস্তান। ইনান ২২ বলে ৩০ রান করে আউট হন। ২২ বলে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন গুহা।
আরও পড়ুন: এক ম্যাচ হাতে রেখে টাইগ্রেসদের সিরিজ জয়
পাকিস্তানের পক্ষে ৩৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন আলী রাজা। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আব্দুল সুবহান ও ফাহাম উল হক।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতের বোলারদের একাই নাস্তানাবুদ করেন শাহজাইব খান। শুরুতে অবশ্য কম ভোগাননি উসমান খানও। ৯৪ বলে ৬ চারের মারে এ ওপেনার ৬০ রান করে আউট হলেও ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন শাহজাইব। ১৪৭ বলে ১০ ছক্কা ও ৫ চারের মারে ১৫৯ রান করে ৫০তম ওভারের প্রথম বলে আউট হন তিনি। তাতে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৮১ রানের দারুণ সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ভারতের পক্ষে ৪৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সামার্থ নাগারাজ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ডগড়া জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা
অবশ্য প্রথম হারলেও খুব একটা সমস্যা হবে না ভারতের। গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচে সহজ প্রতিপক্ষই পাচ্ছে তারা। জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে তাই সেমিফাইনাল খেলা তাদের জন্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা নয়।
]]>