ভারত ও চীনের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি ফ্লাইট চালু

১ দিন আগে
দীর্ঘ কূটনৈতিক অচলাবস্থার পর বরফ গলতে শুরু করেছে ভারত-চীন সম্পর্কের। এবার আরেক ধাপ অগ্রগতি হিসেবে ফের দুদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দুদেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রিও ডি জেনেরিওতে এক বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।


পূর্ব লাদাখের দুটি বিতর্কিত অঞ্চল দেপসাং এবং ডেমচোক থেকে দুদেশের সেনা সরিয়ে নেয়ার পর এটিই দুদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। এই সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে শান্তি ফিরেছে বলে উল্লেখ করেছেন দুদেশের মন্ত্রী।

 

আরও পড়ুন:হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি নেতা বেনি তাইসহ ৪৫ স্বাধীনতাকামীর কারাদণ্ড

 

২০২০ সালে কোভিড মহামারির কারণে ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল এবং বিধিনিষেধ তুলে নেয়া সত্ত্বেও আর  চালু করা হয়নি। সেই বছরের মে মাসে লাদাখে দুদেশের সম্পর্কে স্থবিরতা শুরু হয় এবং পরের মাসে লাদাখের গালওয়ানে একটি সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। 

 

অপরদিকে চীনা পক্ষেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়। যদিও সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। পরে উভয় পক্ষ থেকে সামরিক পর্যায়ে আলোচনা শুরুর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়।

 

একটি নোটে, মিনিস্ট্রি অব এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স (এমইএ) নিশ্চিত করেছে যে, ফ্লাইট পুনরায় শুরু করা এবং তীর্থযাত্রার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত নদী এবং দুদেশের গণমাধ্যমের তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে জয়শঙ্কর এবং ওয়াই আলোচনা করেছেন।

 

এর আগে গতমাসে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। লাদাখের বিতর্কিত পয়েন্টে সেনা সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা আসার পরই দেখা করেন এই দুই নেতা।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে, বৈঠক চলাকালীন, জয়শঙ্কর উল্লেখ করেছেন, ভারত এবং চীন উভয়েরই কিছু বিষয়ে ‘পার্থক্য এবং অভিন্নতা’ থাকার পরও জি-২০ সম্মেলনে সহযোগিতার পাশাপাশি ব্রিকস সম্মেলন এবং এসসিও (সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা) কাঠামোতে তারা গঠনমূলক কাজ করেছেন।

 

আরও পড়ুন:হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল ভারত


ভারতের একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিদেশ নীতি রয়েছে দাবি করে, জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা একটি বহুমুখী এশিয়ার পাশাপাশি বহুমুখী বিশ্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেখানে ভারত তাদের স্বাধীন চিন্তা ও কর্মের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠা একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন।’ 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন