জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগীর মধ্যে ১২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান নিটোরে।
সরেজমিন নিটোরে দেখা যায়, দীর্ঘ ১০ মাসের চিকিৎসায় শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বেশ কয়েকজনের। বিদেশেও চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে তাদের। এখনও একাধিক রোগী আছেন এ তালিকায়। চিকিৎসা, খাবার ও অন্যান্য সেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও শারীরিক অক্ষমতা ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভাবনায় অনেকে মুষড়ে পড়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালান স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারা দেশের মানুষ তখন বিজয়োল্লাসে ব্যস্ত। চারপাশে হইচই, আনন্দ মিছিল। একনায়কতন্ত্রের দখলদারিত্ব ভেঙে গোটা দেশ ফিরে আসে ছাত্র-জনতার হাতে।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরও সবশেষ প্রতিরোধের চেষ্টায় উত্তরায় নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। সারা দেশ যখন আনন্দে ভাসছে, তখন পুলিশের গুলিতে আহত শাহিন পঙ্গু হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন তীব্র যন্ত্রণায়। কিশোর শাহিন জানান, ৫ আগস্ট বিকেলে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা উত্তরা পূর্ব থানা আক্রমণ করলে তাজা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সরকারকে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার
৫ আগস্ট দুপুরে রক্তাক্ত আন্দোলনের শেষ ধাপে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলো হাসান। সে সময় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনিও।
চিকিৎসাসেবা নিয়ে আক্ষেপ না থাকলেও কর্মহীন ভবিষ্যতের শঙ্কায় চিন্তিত গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিমসহ অন্যরা।
নিটোর পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান জানান, বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীদের অবস্থা স্থিতিশীল। এ পর্যন্ত একাধিক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।
রেসিডুয়াল ডিসফাংশন অনেক ক্ষেত্রে রোগীর কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি সরকার ভেবে দেখবে বলেও জানান তিনি।