শনিবার (১৮ জানুয়ারি) উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়নের ইমামনগরে দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় হাফেজ, মাওলানা এবং হাজারো শিশু-কিশোর প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
মাওলানা আব্দুল হামিদ ভাসানী জানান, দরিকান্দি ইউনিয়নের ইমামনগর জামিয়া ইসলামিয়া কওমি মাদরাসার উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা, সিলেট, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের বিভিন্ন মাদরাসার অনূর্ধ্ব-১২, ১৫ ও ১৭ বছর বয়সী হাজারো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই আয়োজন গ্রামের মানুষকে আনন্দিত করেছে। ভবিষ্যতে প্রতিবছর এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
কুমিল্লা থেকে আসা হাফেজ মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘এ রকম আয়োজন প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় হওয়া উচিত। এতে সবাই উপকৃত হবে।’
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে আসা শিক্ষক আবদুল্লাহ বলেন, ‘সারা দেশের প্রতিটি থানায় এমন আয়োজন হলে দেশের হাফেজরা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি করবে।’
আরও পড়ুন: একসঙ্গে তিন সন্তানের মা হলেন মরিয়ম
প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি ছিলেন হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি উস্তাযুল হুফ্ফাজ শায়েখ ক্বারী আব্দুল হক হাফিজাহুল্লাহ। তিনি আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আয়োজক ও মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সাত্তার জানান, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। অনূর্ধ্ব-১৭ বিভাগে পূর্ণ ৩০ পারা, অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগে ধারাবাহিক ২০ পারা, এবং অনূর্ধ্ব-১২ বিভাগে ধারাবাহিক ১০ পারার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
প্রতিটি গ্রুপ থেকে পাঁচজন করে মোট ১৫ জন বিজয়ীকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রায় দুই হাজার আলেম-ওলামা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমাদের গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় এই আয়োজন সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
ধর্মীয় আবহে মুখরিত এই প্রতিযোগিতা ইসলামি শিক্ষা ও ঐতিহ্যকে জাগ্রত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।
]]>