ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ ২

১৪ ঘন্টা আগে
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সাদ্দাম হোসেনকে (৩৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপ-(৪৯) ও অপর আসামি বাবুল মিয়াকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাত ১০টায় র‌্যাব-৯ এর সিপিসি-১ এবং র‌্যাব-৩ এর ঢাকার একটি দল যৌথভাবে ঢাকার সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

 

গ্রেফতার দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির মৃত রফিকুল ইসলাম নেপালের ছেলে এবং বাবুল মিয়া একই এলাকার হান্নান মিয়ার ছেলে।

 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে.এম.শহিদুল ইসলাম সোহাগ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

 

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগায় অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একই এলাকার বাসিন্দা ও সদর উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সিকদারের সাথে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপের বিরোধ চলে আসছিলো।

 

এই বিরোধের জেরে গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কান্দিপাড়া মাদ্রাসা রোডে লায়ন শাকিল ও তার সহযোগীরা দেলোয়ার হোসেন দিলীপের অনুসারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর পরই কান্দিপাড়া এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।

 

পরে ওইদিন রাতে মধ্যরাতে শহরের কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাদ্দাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও তার সহযোগীরা তাকে হত্যা করেছেন। নিহত সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী ও দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

 

এই ঘটনায় ২৮ নভেম্বর রাতে নিহত সাদ্দাম হোসেনের বাবা মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তু মিয়া বাদি হয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপকে প্রধান আসামি করে সদর মডেল থানায় ৭জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

অন্য আসামিরা হলেন, একই এলাকার হান্নান মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া-(২৮), ও তার ভাই সাদিল মিয়া- (৩৫), একই এলাকার ভুলন মিয়ার ছেলে পলাশ মিয়া- (৩৫), জাকির মিয়ার ছেলে টিটন মিয়া-(৩৪), গোলাপ মিয়ার ছেলে বাপ্পা মিয়া-(২৬) ও দেলোয়ার হোসেন দিলীপের ভাই কাজল মিয়া-(৪৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়।

 

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিতে নিহত সাদ্দামের লাশ নিয়ে থানায় অবস্থান, বিচার দাবি

 

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৯ এর সদস্যরা আসামিদের আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। পরে রোববার রাতে ঢাকার বাসাবো এলাকায় অভিযান চালিয়ে দিলীপ সহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

 

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার দীলিপ ও বাবুলকে আদালতে সোপর্দ করে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

তিনি বলেন, গ্রেফতার দিলীপের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় বিভিন্ন ধরনের ১৯টি মামলা রয়েছে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন