ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুলরা’ এবার নাচবে জাপানে

৩ দিন আগে
নেট দুনিয়ায় ভাইরালের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত মানবপুতুল নাচের টিম আগামী ৬ আগস্ট যাচ্ছে জাপানে। সেখানে দুই সপ্তাহ অবস্থান করে জাপানের ওসাকা এক্সপ্রো উৎসবে অংশ নেবেন তারা। এমন খবরে উচ্ছ্বসিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সাধারণ মানুষ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান মোহাম্মদ আল সাইফুল আমীন জিয়া ওরফে জিয়া আমীন। খেলনার পুতুলের আদলে বিশ্বমঞ্চে নাচাবেন জীবন্ত মানব পুতুলকে। নিজের চিন্তা চেতনা থেকে কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি নাচের শিক্ষক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেনের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি প্রথমে জীবন্ত মানবপুতুল নাচটি প্রদর্শন করেন।

 

‘এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া" এতো যত্নে গড়ায়াছেন সাই’ এই গানটির সঙ্গে জীবন্ত পুতুলের নাচের ভিডিওটি তার আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছাড়লে মুহূর্তেই তা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর থেকে জিয়া আমীনকে আর পেছনের দিকে তাকাতে হয়নি। দেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্নদেশ থেকে এ নাচ প্রদর্শন করার জন্যে ডাক আসতে থাকে। এরই অংশ হিসেবে ৬ আগস্ট তার দলের ক্ষুদে নৃত্য শিল্পীদের নিয়ে তিনি যাচ্ছেন জাপানে। সেখানে ওসাকা এক্সপ্রো ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে তারা বিভিন্ন ইভেন্টে নাচ পরিবেশন করবেন। বিদেশের মাটিতে নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এ নিয়ে সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। অংশ নিতে যাওয়া নৃত্য শিল্পীরা জানান, তাদের আগ্রহের কথা।

 

জাপানে যাওয়ার অপেক্ষায় শিক্ষার্থী আনুশকা বলেন, জাপান যাব বলে অপেক্ষায় ছিলাম। আগামী ৫ তারিখ আমরা যাব সেটা ভেবে আমার খুবই ভাল লাগছে। আমরা সেখানে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নাচ করব। আমরা খুবই আনন্দিত। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে আমাদের জিয়া স্যারের জন্য।

 

আরও পড়ুন: এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্নেডো, ধরা পড়ল মোবাইলে

 

প্রিয়াংকা সাহা নামে এক অভিভাবক বলেন, আমরা মেয়ে এত কম বয়সেই বিদেশে যাবে নাচের জন্য সেকারণে আমরাও গর্বিত। তাদের কারণে আমরাও জাপান যেতে পারব সেজন্য অনেক খুশি।

 

নৃত্য প্রশিক্ষক আল সাইফুল আমীন জিয়া বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সবাই আমাকে শুভকামনা দিয়েছেন। আমি সেখানে গিয়ে চেষ্টা করব বাংলাদেশ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম রক্ষা করার জন্য। আমি লোক সংস্কৃতিকে সেখানে বেশি প্রাধান্য দিব। আগামীতে আমরা জাপান ছাড়াও বিভিন্ন দেশে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

এদিকে নাচের দলটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতিকে বিশ্বের বুকে যেন তুলে ধরতে পারেন, সে জন্য দলটির সাফল্য কামনা করেন, নৃত্যশিল্পীদের অন্যান্য অভিভাবকেরা।

 

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সালমা বারী বলেন, আমি এখনো ভাবতে পারছি না তারা জাপানে যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য গর্বের। আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করেছি।

 

আরও পড়ুন: রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক নিহত

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা জানান, এর মাধ্যমে সংস্কৃতির রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐহিত্য বিশ্ব দরবারে ফুটে উঠবে। নতুন প্রজন্ম শেকড়ের প্রতি আরও আকৃষ্ট ও যত্নবান হবে। এমন আরো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বে নিজেদের পরিচিতির সুযোগ রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন