উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাপরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি চলছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, গত ২৮ মে থেকে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদী, জাজি খাল ও কালন্দি খালের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন বিশেষকরে আখাউড়া দক্ষিণ, মোগড়া, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ১৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় বঙ্গেরচর এলাকায় আখাউড়া স্থলবন্দরের রফতানিমুখী সড়কের একাংশ। পাশাপাশি পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বঙ্গের চর, আব্দুল্লাহপুর, কালিকাপুর, ধলেশ্বর, ইটনা, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর সহ ১৯টি গ্রামের ৫১১টি পরিবার পানি বন্ধি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি কমতে থাকায় আখাউড়া স্থলবন্দর সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। বন্দর এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও পানি নেমে যায়। এতে স্বস্তি ফিরে আসে বন্দরের ব্যবসায়ীদের মাঝে। গতি আসে স্থলবন্দরে ব্যবসা বাণিজ্যে। তবে আগের মতোই সচল রয়েছে দু- দেশের যাত্রী পারাপার।
আরও পড়ুন: বর্ষায় এক ভিন্ন চট্টগ্রাম, রেকর্ড বৃষ্টিতেও নেই জলাবদ্ধতা, জানুন পেছনের গল্প
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও মের্সাস আদনান ট্রেড ইন্টারন্যশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন বলেন, ‘পানির কারণে গত কয়েকদিন ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারছিলাম না। বন্যার কারণে আমাদের মূল্যবান ডকুমেন্ট নষ্ট হয়েছে। তারপরও পানি কমে যাওয়ায় আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি।’
স্থলবন্দরের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, বন্যায় স্থলবন্দরে তেমন কোনো প্রভাব পরেনি। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হতো। পানি কমে যাওয়ায় এখন আর সেই সম্ভাবনা নেই।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম রাশেদুল ইসলাম জানান, হাওড়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যারকারণে প্লাবিত গ্রামগুলোতে পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫১১টি পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে জিআর চাল ও নগদ ৫০০টাকা করে দেয়ার কথা জানান তিনি।