ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ২০

৩ সপ্তাহ আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে সোহরাব হোসাইন আবির নামে ছাত্রদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহরাব হোসাইন আবির চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক। তিনি কাঁঠালকান্দি গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।


পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, চাতল পাড় ইউনিয়নের উল্টা ও মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে গোষ্ঠীগত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই অংশ হিসেবে গোষ্ঠীগত পূর্ববিরোধের জের ধরে বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টা খানেক ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এতে মোল্লা গোষ্ঠীর ছাত্রদল নেতা সোহরাব হোসাইন আবির নিহত হয়। 


এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তন্ত ২০ জন আহত হন। আহতদের অনেকেই নাসিরনগর ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সংঘর্ষের পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।


গুরুতর আহতদের মধ্যে তিনজন মোল্লা গোষ্ঠীর। তারা হলেন, নেয়ামুল মিয়া, বাবুল মিয়া সুরাফ মিয়া। তাদের কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আরো যারা আহত হয়েছে তারা হলেন মোতাহার মিয়া, তালেব মিয়া, আশিক মিয়া।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের কারাদণ্ড

অন্যদিকে উল্টা গোষ্ঠীর পক্ষের আহতরা হলেন, আলাউদ্দিন, ইউসুফ মিয়া, হাফিজ মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, দুরস মিয়া, জলির মিয়া।


ঘটনা সম্পর্কে চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দুই গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ মারামারি শুরু হয়। একজন নিহত হয়েছে। লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ রয়েছে পুরো বাজার। মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর চাতলপাড় বাজারের ৫ শতাধিক দোকানঘর বন্ধ হয়ে গেছে।


ঘটনা সম্পর্কে উল্টা গোষ্ঠীর মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের লোকদের সব সময় তারা মারধর করত। এর জেরে আজ এ ঘটনা ঘটে। বাজারে আমাদের ২০টি দোকান লুটপাট করে কয়েক কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।’


অপরদিকে মোল্লা গোষ্ঠীর পক্ষের মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অতর্কিত হামলা করে আলাউদ্দিনের লোকজন। এর মধ্যে সোহরাবকে টেঁটা দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে। আরও দুজন মৃত্যুর পথযাত্রী। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’

আরও পড়ুন: নিখোঁজের একদিন পর ভাইবোনের মরদেহ উদ্ধার

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম জানান, অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শানিহা নাসরিন বলেন, ‘সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। লুটপাটের ঘটনা শুনেছি। আমি সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কথা বলেছি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন