স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে ছাত্রদল, ছাত্র সমন্বয়ক এবং ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় হট্টগোল ও বিক্ষোভ করছেন। ভিসি অফিস ঘেরাও করে তারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।
সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভোটার তালিকার ভুল সংশোধন এবং অন্যান্য অসংগতি দূর না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। ঘোষণা দেয়া মাত্রই ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
স্থগিতাদেশের পর সাবেক ছাত্র সমন্বয়ক ও বেরোবি শিক্ষার্থী পরিষদের নেতারা প্রশাসনিক ভবনের চতুর্থ তলায় নির্বাচন অফিসের বাইরে তালা লাগানোর ঘোষণা দেন। তারা তালা লাগানোর চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানায়। এ সময় উভয় পক্ষ তুমুল হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন।
ছাত্র সমন্বয়ক খোকন ও আশিকের সঙ্গে সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের সহসভাপতি তুহিন রানাসহ অন্য নেতাদের তীব্র বিতর্ক হয়। দুই পক্ষই পরস্পরের দিকে আঙুল তুলে চিৎকার করতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ছাত্রদল সভাপতি ইয়ামিন এবং সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান নিজের দলের নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
প্রায় এক ঘণ্টা টানটান উত্তেজনার পর ছাত্র সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থী পরিষদের নেতারা ভিসির অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা বলেন, স্থগিতাদেশ উঠে গেলে রাতের মধ্যেই ভোটার তালিকার সামান্য ভুলগুলো সংশোধন করা সম্ভব এবং নির্বাচনও অব্যাহত রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: ব্রাকসু নির্বাচন: সকালে মনোনয়ন সংগ্রহ, বিকেলে স্থগিতের ঘোষণা
স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী ও সাবেক ছাত্র সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘প্রশাসন ছাত্রদলকে সন্তুষ্ট করতে নাটক সাজিয়ে নির্বাচন বানচালের জন্য এই স্থগিত ঘোষণা করেছে। ভোটার তালিকায় যেসব ভুল আছে, সেগুলো রাতের মধ্যেই ঠিক করা সম্ভব।’
বেরোবি শিক্ষার্থী পরিষদের প্রার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক আহমেদুল আল বীর বলেন, ‘এটা প্রশাসনের নতুন তামাশা। আট হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে নতুন টালবাহানা শুরু করেছে প্রশাসন। রাতেই স্থগিতাদেশ তুলতে হবে।’
অন্যদিকে ছাত্রদল সভাপতি ইয়ামিন বলেন, ‘ভোটার তালিকায় ভুল রয়েছে। তাই ভুল সংশোধন করেই শীতকালীন ছুটির পর নির্বাচন হলে ভালো হয়। যারা এখন আন্দোলন করছে তারা ক্যাম্পাসের মঙ্গল চায় না।’
সন্ধ্যায় স্থগিতাদেশের ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনার ড. মোহসীনা আহসান। তিনি ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা এবং প্রশাসনের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘কমিশনকে হেয় করার পরিকল্পনা ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।’ এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. শাহজামানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থগিতাদেশের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শওকাত আলী বলেন, ‘সঠিক তথ্য সরবরাহ করা হলেও যদি কোনো ভুল থাকে, সেটি সংশোধন করা কমিশনের দায়িত্ব।’ তিনি কমিশনকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
]]>
১১ ঘন্টা আগে
১





Bengali (BD) ·
English (US) ·